মায়ানমারকে একটি কিলো ক্লাস সাবমেরিন দিচ্ছে ভারত! - Southeast Asia Journal

মায়ানমারকে একটি কিলো ক্লাস সাবমেরিন দিচ্ছে ভারত!

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্কঃ

ভারত মায়ানমারকে একটি কিলো ক্লাস সাবমেরিন উপহার দিচ্ছে। ভারত স্যাবমেরিনটিকে আপগ্রেড/রিফিটিং করে এবছরের শেষের দিকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করবে বলে খবরে প্রকাশ।

সাবমেরিনটি প্রায় ৩০ বছর ধরে ভারতীয় নেভীর সার্ভিসে ছিলো। তখন এটির নাম ছিলো আইএনএস সিন্ধুবীর। ভারত ১৯৮৮ সালে ১০ টি কিলো ক্লাস স্যাবমেরিন কিনেছিলো। এর ভেতর কয়েকমাস আগে ভারত একটি কিলো ক্লাস স্যাবমেরিনকে রাশিয়া থেকে মেজর আপগ্রেশন করে এনেছিলো। কিন্তু দূর্ভাগ্য বসত কিছুদিন আগে সেটিতে আগুন লেগে স্যাবটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। একটিকে রিটায়ার্ডে পাঠানো হয়েছে, আরো কয়েকটি নষ্ট হয়ে ডকে পরে আছে। বাকি গুলো সার্ভিসে আছে।

কিলো ক্লাস রাশিয়ার তৈরি একটি আধুনিক যুদ্ধপযোগী মোটামোটি ভালো মানের ডিজেল ইলেক্ট্রনিক ডেডিকেটেড এট্যাক স্যাবমেরিন।

কিলো ক্লাস স্যাবমেরিনের সবচেয়ে ভালো ব্যাপারটি হলো, এটি ৪ টি 3M-54 Kalibr লং রেঞ্জ ক্রুজ মিসাইল ক্যারি করে। যার রেঞ্জ ২২০ থেকে ৩০০ কিমি। এই মিসাইল গুলো এন্টিশিপ, এন্টি স্যাবমেরিনের পাশাপাশি ল্যান্ড এট্যাক রুলেও ব্যাবহার করা যায়।

এছাড়া স্যাবটিতে আরো থাকে….
১৮ টি 533 mm টর্পেডো।
২৪ টি ন্যাভাল মাইন।
এছাড়া ক্লোজ এয়ার ডিফেন্সের জন্য ৮ টি ম্যানপডও রাখা হয়। ৩০০০ টনি স্যাবমেরিনগুলোর এন্ডুরেন্সও বেশ ভালো (৪৫ দিন)। স্যাবটির অপারেশন্যাল রেঞ্জ ৭০০ কিমি, ডেপথ রেঞ্জ ৩০০ মিটার।

আর হ্যা, ভারত কিছুদিন আগে মিয়ানমারের কাছে নিজেদের তৈরি ‘শিয়েনা’ টর্পেডো বিক্রি করেছে। তাই নিশ্চিত ভাবেই ভারত এই স্যাবমেরিনটিকে নিজেদের শিয়েনা টর্পেডো ফায়ার ক্যাপাবল করে আপগ্রেড করে দেবে।

বলার অপেক্ষা রাখেনা চাইনিজ মিং ক্লাসের তুলনায় রাশান কিলো ক্লাস স্যাবগুলো অনেক উন্নত এবং শক্তিশালী। কিলো ক্লাসের ২২০-৩০০ কিমি রেঞ্জের এন্টি স্যাবমেরিন ক্রুজ মিসাইলের বিপরিতে মিং ক্লাসে কোনো ক্রুজ মিসাইল নেই, আছে টর্পেডো, যার রেঞ্জ ৩০-৩৫ কিমি। এতদিন আমরা কেবল ন্যাভাল ইকুয়েপমেন্টের দিক দিয়েই মিয়ানমারের তুলনায় কিছুটা এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু স্যাবমেরিনটি হাতে পেলে মিয়ানমার নেভী একধাপ এগিয়ে যাবে, সেই সাথে সমুদ্রে বাংলাদেশের স্যাবগুলোও অরক্ষিত হয়ে পরবে।