উচ হ্লা ভান্তে কর্তৃক দখলকৃত ভূমি ফেরত পাবার দাবিতে বান্দরবানে মানববন্ধন
![]()
নিউজ ডেস্কঃ
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে রামজাদীর প্রতিষ্ঠাতা বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু উচ হ্লা ভান্তে কর্তৃক খ্রিস্টান ক্যাথলিক মিশনসহ ২০ জনের নামীয় একশ’ একর বিভিন্ন শ্রেণির জমি দখলের অভিযোগ এনে তা ফেরত পাবার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভূক্তভোগীরা।
সকাল ১০টায় (৩১ জুলাই) বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্ত্বরে বান্দরবান ফাতিমা রাণী ক্যাথলিক মিশন গীর্জার ফাদার জেরোম ডি রোজারিও উক্ত মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন।

এসময় ভুক্তভোগী জনগণ এই ভূমিদস্যু, আইন বিরোধী অমানবীয় কাজের তীব্র নিন্দা জানান এবং তাদের বেদখলকৃত জমি ফেরত পাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আকুল মিনতি জানান। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ভূমিদস্যু উচ হ্লা ভান্তে বিগত ২০০৫ সাল হতে অধ্যাবদি অনেকের মুখের ভাত কেড়ে নিয়েছে, অনেকে পরিবারকে রাস্তায় বসিয়েছে, অনেককে এই এলাকা থেকে বিতাড়িত করেছে, ভয়-ভীতি দেখিয়ে, মামলা মোকাদ্দমা দিয়ে এক অস্থির পরিবেশ তৈরি করেছে এবং প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। ভয়ে অনেকেই অত্র এলাকায় আসছে না।
বক্তারা আরো বলেন, ‘রামজাদীর প্রতিষ্ঠাতা উচহ্লা ভান্তে একজন বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু। ধর্মীয় নেতা হিসাবে আমরা তাকে সম্মান করি। কিন্তু ধর্মীয় নেতা হওয়ার পরও তিনি বড়ুয়া সমিতিসহ ২০ জনের জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছেন। যে কারণে তার সঙ্গে নিজের ধর্মের লোকজনের বিরোধ চলছে। ইতোপূর্বে ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা বলবৎ ছিলো, কিন্তু তিনি সেটিও অমান্য করেছেন। উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ওপরও হামলা চালায় তার অনুসারীরা। বিষয়গুলো নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’

মানববন্ধনের প্রধান সমন্বয়কারী বান্দরবান ফাতিমা রাণী ক্যাথলিক মিশন গীর্জার ফাদার জেরোম ডি রোজারিও বলেন, “আজকে আমরা কোথায় আছি? আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ আজকে কোথায়? আমরা বান্দরবানে শান্তি চাই, সম্প্রীতি চাই, ধর্মীয় মূল্যবোধ চাই, কিন্তু তথাকথিত সন্ত্রাসীরা আমাদের ভূমি দখল করে আমাদের বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে।” অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ না করলে পার্বত্যবাসিকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের কথাও বলেন তিনি।
মানববন্ধনে স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ নুরুল আলম, বড়ুয়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, বোমাং সার্কেলের মৌজা হেডম্যান রাজপুত্র নংমংপ্রু মারমা, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ বান্দরবান পার্বত্য জেলা আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ, হিলি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন বান্দরবান জেলা সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল, মোহাম্মদ হোসাইন এবং হিলি ওমেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বান্দরবান জেলা সভাপতি মোসাম্মৎ আয়েশা সিদ্দিকা শাহিনাসহ ভূক্তভোগী জনগন উপস্থিত ছিলেন।