থাইল্যান্ড সীমান্তের এক শহর থেকে নিজ সৈন্যদের প্রত্যাহার মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর

থাইল্যান্ড সীমান্তের শহর থেকে নিজ সৈন্যদের প্রত্যাহার মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর

থাইল্যান্ড সীমান্তের এক শহর থেকে নিজ সৈন্যদের প্রত্যাহার মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সৈন্যদের পাল্টা অভিযানের মুখে থাইল্যান্ড সীমান্তের এক শহর থেকে নিজ সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটির একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। দ্য কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) নামের ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা চলতি মাসে থাই সীমান্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহরটির দখল নিয়েছিল।

বুধবার মিয়ানমারের সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। কেএনইউর একজন মুখপাত্র বলেছেন, কারেন ন্যাশনাল আর্মি থাইল্যান্ড সীমান্তের মায়াবতী শহর থেকে ‘‘অস্থায়ী পশ্চাদপসরণ’’ করেছে। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ওই শহরটিতে জান্তা সৈন্যরা ফিরে আসায় পিছু হটেছে কেএনইউ। শহরটিতে বার্ষিক এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাণিজ্য হয়।

মিয়ানমারের প্রাচীনতম জাতিগত বিদ্রোহীগোষ্ঠী কেএনইউর সশস্ত্র শাখা কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির কথা উল্লেখ করে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র সাও তাও নি বলেছেন, কেএনএলএ যোদ্ধারা জান্তা সৈন্য ও তাদের সহায়তা করতে মায়াবতীর দিকে অগ্রসর হওয়া সৈন্যদের ধ্বংস করবে।

তবে কেনএনএলএর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানাননি তিনি।

থাই-সীমান্ত লাগোয়া মিয়ানমারের মায়াবতী শহরে সম্প্রতি ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিগত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের সাথে জান্তা সৈন্যদের সংঘর্ষে একদিনে শহরটির প্রায় তিন হাজার বেসামরিক নাগরিক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। থাইল্যান্ডের সাথে মিয়ানমারের সংযোগকারী একটি সেতুতে আটকা পড়া জান্তা সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করেছে বিদ্রোহীরা।

এদিকে, বুধবার থাইল্যান্ড বলেছে, সীমান্তে মিয়ানমারের জান্তা সৈন্যদের সাথে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ কিছুটা কমেছে। সংঘাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে শিগগিরই সীমান্ত পুনরায় খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করছে দেশটি। থাইল্যান্ডের বেশিরভাগ নাগরিক মায়াবতী শহর থেকে দেশে ফিরেছেন। তবে এখনও সেখানে ৬৫০ থাই নাগরিক আটকা আছেন বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ডের সরকার।

এক সংবাদ সম্মেলনে থাই সরকারের মুখপাত্র নিকোরনদেজ বালানকুরা বলেছেন, পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে। এছাড়া আমরা সীমান্ত পরিস্থিতি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি; যা অত্যন্ত অনিশ্চিত। তবে যেকোনও সময় পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে।

তিনি বলেছেন, মিয়ানমারে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর মাঝে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে থাইল্যান্ডের কাছে তথ্য আছে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি তিনি।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *