ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ হচ্ছে রোবট কুকুর ও সেবেক্স ২ বিস্ফোরক

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ হচ্ছে রোবট কুকুর ও সেবেক্স ২ বিস্ফোরক

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ হচ্ছে রোবট কুকুর ও সেবেক্স ২ বিস্ফোরক
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ হতে যাচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রোবট কুকুর ও শক্তিশালী সেবেক্স ২ বিস্ফোরক। রোবোটিক মাল্টি-ইউটিলিটি লেগড ইকুইপমেন্ট (মিউলস) নামের এই কুকুর মালামাল বহন থেকে শুরু করে নজরদারির কাজে ব্যবহার করা যাবে। দিল্লির এক সংস্থা এই রোবট কুকুরগুলো তৈরি করছে।

সেনা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জরুরি ভিত্তিতে এই ধরনের ১০০টি রোবট কুকুরের অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। আপাতত ২৫টি মিউলস-এর ‘প্রি-ডেসপ্যাচ ইন্সপেকশন’ সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই সেগুলোকে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে।

এই রোবট কুকুরগুলো থার্মাল ক্যামেরা এবং সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করে রিয়েল-টাইম তথ্য দিতে সক্ষম। রোবট কুকুরগুলোকে কাজে লাগিয়ে সেনাবাহিনী শত্রুপক্ষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে এবং নিরাপদ দূরত্ব থেকে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে পারবে।

শত্রুপক্ষ গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে এমন পাহাড়ি এবং অন্যান্য দুর্গম অঞ্চলে সেনাদের পরিবর্তে রোবট কুকুরগুলোকে অভিযানে পাঠানো যাবে। এগুলো ছোট মাপের অস্ত্র বহন করতে পারে এবং সেসব অস্ত্র ব্যবহার করে শত্রুপকক্ষের ওপর হামলাও চালাতে পারে।এছাড়া, যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর হালকা মালপত্র বহন করতে পারবে এই রোবট। রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

গত ১২ মার্চ রাজস্থানের পোখরানে সেনাবাহিনীর মহড়াতে রোবট কুকুরগুলো পরীক্ষা করা হয়। একেকটি কুকুরের ওজন ৫১ কেজি। এর দৈর্ঘ্য ২৭ ইঞ্চি। সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা। টানা ১০ ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম এই রোবট। এর পেলোড ক্ষমতা ১২ কিলোগ্রাম।

সম্প্রতি প্রকাশিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ৪০ সেকেন্ডের ভিডিওতে প্রথমবারের মতো এই কুকুরকে দেখা গেছে।

শুধু রোবট কুকুরই নয়, ভারতীয় নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সেবেক্স ২ নামের সম্পূর্ণ নতুন একটি বিস্ফোরকও তৈরি হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, এই বিস্ফোরক টিএনটি-র থেকে দুই গুণ বেশি প্রাণঘাতী। নাগপুরের সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ এই বিস্ফোরক তৈরি করেছে।

পারমাণবিক অস্ত্র বাদ দিলে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরকগুলোর অন্যতম সেবেক্স ২। হাই-মেল্টিং এক্সপ্লোসিভস-এর ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এটি। বিস্ফোরণের মাত্রায় কয়েক গুণ এগিয়ে থাকলেও তথাকথিত বিস্ফোরকগুলোর তুলনায় এর ওজন অনেক কম। ফলে কামানের শেল বা ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেড এটি ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ওজন পড়বে না। নৌবাহিনীর প্রতিরক্ষা রফতানি প্রকল্পের অধীনেই এই বিস্ফোরকটির পরীক্ষা করা হয়।

কূটনৈতিক মহলের মতে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সামরিক শক্তিতে ভারতকে প্রতি মুহূর্তে চীনের সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে। তাই সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিক্স প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে ভারত।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।