বান্দরবানে সড়কের ওপর ধসে পড়লো পাহাড়, ৪ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক
 
                 
নিউজ ডেস্ক
টানা বর্ষণে রাস্তার ওপর পাহাড় ধসে পড়ে বান্দরবানের সঙ্গে থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে থানচি সড়কের জীবননগর এলাকায় পাহাড়ের বিশাল একটি অংশ সড়কের ওপর ধসে পড়ে। এতে বান্দরবানের সঙ্গে থানচির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক থেকে ধসে পড়া মাটি অপসারণে কাজ শুরু করে। জরুরি প্রয়োজনে উভয় দিক থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন আটকে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীসহ স্থানীয়রা।
এদিকে, পাহাড়ধসে পড়ার ৪ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দুপুরে জেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মূৎসুদ্দি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা জানায়, টানা বৃষ্টির কারণে বান্দরবান-থানচি সড়কের নীলগিরি এলাকায় পাহাড়ধসে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ধসেপড়া মাটি সরানো হয়। পরে প্রায় চার ঘণ্টা পর বান্দরবান থানচি সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পূর্ণচন্দ্র মূৎসুদ্দি জানান, টানা বৃষ্টিতে বান্দরবান থানচি সড়কে পাহাড়ধসে সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ধসেপড়া মাটি সরানোর পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অপরদিকে, লামায় মাতামুহুরি নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ওপরে। এতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি পৌর এলাকার ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়ে তিন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় একশ পরিবার।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি পৌর এলাকার ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১০০ পরিবার পৌর এলাকার তিন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।’
বান্দরবান আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল জানান, ‘মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যা আরও কয়েকদিন হতে পারে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’
