নোয়াখালীতে থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র-গুলি হস্তান্তর করলো সেনাবাহিনী
নিউজ ডেস্ক
গত ৫ আগস্ট নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী ও চাটখিল থানায় হামলার সময় লুণ্ঠিত অস্ত্রগুলোর মধ্যে ৯৪টি অস্ত্র, প্রায় ৩ হাজার রাউন্ড গুলি ও ৪১টি ম্যাগাজিনসহ পুলিশের ব্যবহৃত অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করে পুলিশকে বুঝিয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে উদ্ধার করা অস্ত্র ও গুলির মধ্যে কিছু আগুনে পোড়া রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র ও গুলিসহ অন্যান্য মালামাল চাটখিল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাসের কাছে হস্তান্তর করেন, ক্যাম্পের টুআইসি মেজর রিফাত আনোয়ার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানায় হামলার সময় হামলাকারীরা দুটি থানা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরাসহ স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে লুণ্ঠিত অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে। পরবর্তীতে অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস বলেন, ‘দুটি থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্রগুলোর মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ অস্ত্র ও গুলি এরইমধ্যে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা। উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।’
বাকি অস্ত্রগুলো স্ব-স্ব থানায় ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে জমা দিতে সর্বসাধারণকে অনুরোধ করেছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর সোনাইমুড়ী বাইপাসে আনন্দ মিছিল করে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বিকেল ৫টার দিকে আনন্দ মিছিল থেকে সোনাইমুড়ী থানাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে থানায় হামলার চেষ্টা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। ওই সময় থানার ছাদ থেকে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পুলিশ। এ সময় হামলাকারীরা থানার ভেতরে ডুকে ভাঙচুর শুরু করে এবং পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা দুটি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার সময় ও পরবর্তীতে থানায় ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।