খাগড়াছড়িতে হতদরিদ্র তিন পরিবারকে তিনটি বসতঘর উপহার দিল বিজিবি

খাগড়াছড়িতে হতদরিদ্র তিন পরিবারকে তিনটি বসতঘর উপহার দিল বিজিবি

খাগড়াছড়িতে হতদরিদ্র তিন পরিবারকে তিনটি বসতঘর উপহার দিল বিজিবি
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড়ে গরীব, অসহায় ও হতদরিদ্র তিন পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে বসতঘর নির্মান করে দিল ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (রামগড় জোন)।

দীর্ঘ নির্মানকাজ শেষে আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপকারভোগীদের হাতে এসব বসতঘর হস্তান্তর করা হয়।

ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন নিজে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে এসব ঘরের চাবি তুলে দেন।

খাগড়াছড়িতে হতদরিদ্র তিন পরিবারকে তিনটি বসতঘর উপহার দিল বিজিবি

জানা যায়, ব্যাটালিয়ন অধীনস্ত তৈচালা এলাকার হতদরিদ্র মোঃ দুলাল মিয়া, পিয়ার আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ বসতঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। যেকোন সময় প্রাকৃতিক দূর্যোগে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা ছিলো এসব বসতঘরে।

এছাড়া, সম্প্রতি সৃষ্ট টানা বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে পাহাড় ধসে গাছ পড়ে মোছাঃ ছালেহা খাতুন নামের এক হতদরিদ্র নারীর বসতবাড়িত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিষয়টি জানতে পেরে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন উক্ত তিন পরিবারের কষ্ট লাঘবের নিমিত্তে তাদেরকে বিজিবির পক্ষ হতে একটি করে বসতঘর উপহার দেয়ার কার্যক্রম শুরু করে। দীর্ঘ নির্মানকাজ শেষে আজ তাদের হাতে এসব উপহারের ঘর তুলে দেয়া হয়।

খাগড়াছড়িতে হতদরিদ্র তিন পরিবারকে তিনটি বসতঘর উপহার দিল বিজিবি

ঘর উপহার পাওয়া ছালেহা খাতুন জানান, ‘টানা বৃষ্টির সময় গাছ পড়ে আমার একমাত্র মাথা গোঁজার সম্বল বসত ঘরটি ভেড়ে যায়। এরপর বিষয়টি বিজিবির জোন কমান্ডারকে জানালে তিনি আমাকে একটি ঘর তৈরী করে দেন।’ এসময় বিজিবির প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে, একই দিন জোন সদরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একজন হতদরিদ্র নারীকে সাবলম্বী করার লক্ষে একটি সেলাই মেশিন ও একটি পরিবারের বসতঘর সংস্কারের লক্ষে ভুক্তভোগীদের হাতে ঢেউটিন তুলে দেন ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক।

এসময় ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়িতে হতদরিদ্র তিন পরিবারকে তিনটি বসতঘর উপহার দিল বিজিবি

ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন জানিয়েছেন, রামগড় জোন কর্তৃক গরীব ও দুঃস্থ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং বাঙ্গালী জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত থাকবে। এসময় তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সবাইকে মিলেমিশে বসবাস করার আহবান জানান।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।