রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছে মিয়ানমারের এনজিও সংস্থা, রয়েছে তথ্য পাচারের ঝুঁকি! - Southeast Asia Journal

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছে মিয়ানমারের এনজিও সংস্থা, রয়েছে তথ্য পাচারের ঝুঁকি!

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া ও বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্তী শিবিরে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের মাঝে কাজ করছে খোদ মিয়ানমারেরই এনজিও কমিউনিটি পার্টনার্স ইন্টারন্যাশনার (সিপিআই)। অনুমোদন ছাড়াই উখিয়ার ৮টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছে এনজিওটি। অভিযোগ রয়েছে এনজিও সংস্থাটি মিয়ানমারের সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।

তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এনজিওটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মিয়ানমার সরকারের কাছে রোহিঙ্গা শিবির সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাচার ও সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়ার কাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে এনজিও কার্যক্রম নয় বরং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তথ্য পাচার ও রোহিঙ্গার ভূল বুঝিয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনেও বাঁধাগ্রস্ত করছে এনজিওটি।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সরকারের কোনো অনুমতি না নিয়েই কক্সবাজার শহরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রিত বিশাল অফিস গড়ে তুলেছে এনজিও-টি। এছাড়া অফিসে স্থাপন করা হয়েছে উখিয়া টেকনাফের প্রতিটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ম্যাপ। অফিসে ঢুকলেই চোখে পড়বে পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অবস্থান।

রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী বলেন, সিপিআই মিয়ানমারের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এনজিও। এই এনজিও মিয়ানমারের পক্ষে কাজ করতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে। এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম বলেন, ক্যাম্পে এনজিওদের অনুমতি দেয় এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো। তারা শুধু এনজিওদের মনিটর বা সমন্বয় করে থাকে। সিপিআই এনজিওটির অনুমতি আছে কী নেই তা জানা নেই।

এ ব্যাপরে সিপিআই এনজিও’র কক্সবাজার অফিসে গেলে এনজিও’টির টিম লিডার আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, সিপিআই দুই দশক আগে মিয়ানমারের কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশে কাজ করার জন্য তারা সংশ্লষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছে। বাংলাদেশে কাজ করার অনুমতি তাদের না থাকলেও দুই বছর আগে পালর্স বাংলাদেশ নামের এনজিওর পার্টনার হিসেবে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ শুরু করে।

স্থানীয়রা মনে করছেন, সরকারী অনুমতি ছাড়াই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি এনজিও সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনা এবং সেটি খোদ মিয়ানমারের হওয়াতে উদ্বেগ বাড়তে পারে সরকারের। এছাড়া ঝুঁকি রয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ন স্থানে ছড়িয়ে গিয়ে দেশের প্রয়োজনীয় এবং স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁসেরও।