খাগড়াছড়িতে চলছে ইউপিডিএফের সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ, জনমনে আতঙ্ক
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়িতে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ডাকে সকাল-সন্ধ্যা সড়কপথ অবরোধ চলছে। অবরোধের কারণে ভাংচুর ও সহিংসতার ভয়ে দূরপাল্লার সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে শহরে ভেতরে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করছে অবরোধ সমর্থকেরা। এতে করে আতঙ্ক দেখা গেছে সড়কে চলাচল করা জনসাধারনের মনে।
এছাড়া, অবরোধকে ঘিরে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙ্গালীরা। অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলোও বলছে, রাজনৈতিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়া এবং জুম্ম জাতির কাছে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে অবরোধের নামে নাশকতা করতে চায় ইউপিডিএফ।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রশাসন তদন্ত করবে, দোষীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু, আইনের কাজকে নিরপেক্ষতার সাথে করতে বাঁধা প্রদানের জন্য সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাইছে সন্ত্রাসীরা। যে ঘটনাটি নিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাচ্ছে ইউপিডিএফ, উক্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদেরই দলের অপর একটি গ্রুপ।
নিজেদের দলীয় কোন্দল নিরসনে ব্যর্থ ইউপিডিএফ উস্কানিমূলক অবরোধ ডাকায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-েগোষ্ঠীর নেতারাও। অবিলম্বে উস্কানিমূলক জনবিধ্বংসী কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান তারা।
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, অবরোধে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচগুলো ভোরে শহরে প্রবেশ করেছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার জেলার পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নের শান্তি রঞ্জনপাড়ায় চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ইউপিডিএফ প্রসিত দলের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে তিন সন্ত্রাসী নিহত হন। ইউপিডিএফ এ ঘটনার জন্য তাদের প্রতিপক্ষকে দায়ী করেছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।