পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি ও শান্তি চুক্তি বাতিল করতে হবে: শাহজাহান চৌধুরী

পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি ও শান্তি চুক্তি বাতিল করতে হবে: শাহজাহান চৌধুরী

পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি ও শান্তি চুক্তি বাতিল করতে হবে: শাহজাহান চৌধুরী
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি আনতে সেখানে প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্পগুলো পুনঃস্থাপন ও সেনাক্যাম্প বৃদ্ধি করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা এবং বৈষম্যমূলক শান্তি চুক্তি বাতিল করা উচিত।

আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৈষম্যবিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐক্য পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান বৈষম্য, সংকট ও সমাধানে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে যে পার্বত্য শান্তি চুক্তি হয়েছে, এর ফলে সরকার কেন্দ্রীয় ভাবে সেখানে কিছু করতে পারছে না। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপের কারণে চুক্তিটি বাতিল করা যাচ্ছে না। কিন্তু আমরা যদি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মাধ্যমে এই বিষয়টি জাতীয় ভাবে তুলে ধরতে পারি তাহলে শান্তি চুক্তি বাতিল করা সম্ভব। ভারতের সাথে পানি চুক্তি বাতিলসহ যে ১৮টি চুক্তি শেখ হাসিনা আমলে হয়েছে তা দ্রুত বাতিল করতে হবে।

পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি ও শান্তি চুক্তি বাতিল করতে হবে: শাহজাহান চৌধুরী

তিনি আরও বলেন, এখন কোনো দাবি দাওয়ার সময় নয়, এখন সময় জাতীয় ঐক্যের। পার্বত্য চট্টগ্রাম যেমন বাঁচাতে হবে, তেমনি চট্টগ্রামকেও বাঁচাতে হবে। ফ্যাসিস্ট যাতে বাংলাদেশে আর আসতে না পারে সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সংগ্রাম নয়, লড়াই নয় বরং বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান তিনি।

অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়ে জাতিসংঘে জোড়ালো বক্তব্য প্রদান করেছেন। এর আগে এমন সাহসী বক্তব্য বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্র প্রধান দিতে পারেনি।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তার যোগ্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেন তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বন্দর নগরী চট্টগ্রাম হুমকির মুখে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাগণ যেন এই বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ভারতের সাথে করা দেশবিরোধী সকল অবৈধ চুক্তি বাতিলের পাশাপাশি ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম কালো চুক্তি বাতিল করার দাবী জানিয়ে শাহজাহান চৌধুরী, এসময় পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রত্যাহারকৃত ২৪১টি সেনা ক্যাম্প পূনঃ স্থাপন করা খুবই জরুরি বলে উল্লেখ করেন।

পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি ও শান্তি চুক্তি বাতিল করতে হবে: শাহজাহান চৌধুরী

মতবিনিময় সভায় বক্তারা, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান করতে অন্তবর্তী সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সাথে ভূমি কমিশন, ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন আইন, সকলের জন্য সর্বস্তরে সমহারে কোটা স্থাপন, শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন, পার্বত্য অঞ্চলকে পর্যটন অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা, রাবার শিল্পকে কৃষি শিল্প হিসেবে উন্নত করা, গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় বন্দর স্থাপন করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব বলে মতপ্রকাশ করেন বক্তারা।

বৈষম্যবিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী তৌহিদ আজাদের সঞ্চালনা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক গবেষক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমীর এস. এম আব্দুস সালাম আজাদ।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আইআইইউটি ঢাকার অধ্যাপক ড. আমান উদ্দিন মুজাহিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক এডভোকেট ইব্রাহিম মুজাহিদ, চট্টগ্রাম বিষয়ক গবেষক এ এইচ এম ফারুক, পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম মনির, পিএইচডি গবেষক জাকির হোসেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ- সভাপতি আতিকুর রহমান, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক সুজন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলাম, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদেকুর রহমান , পার্বত্য আইনজীবী ফোরামের নেতা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট সরোয়ার হোসেন, এডভোকেট দেলোয়ার হোসাইন, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল মালেক, ছাত্র নেতা আব্দুল গফুর প্রমুখ।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।