চিকেন নেকের নিরাপত্তায় সক্ষম ভারত- অমিত শাহ

চিকেন নেকের নিরাপত্তায় সক্ষম ভারত- অমিত শাহ

চিকেন নেকের নিরাপত্তায় সক্ষম ভারত- অমিত শাহ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, শিলিগুড়ি করিডোর নিরাপদ আছে। তিনি শুক্রবার ৬১তম রেইজিং ডে উপলক্ষে শিলিগুড়িতে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)’র সদরদপ্তরে যান। এটি রানিডাঙ্গা শহরের বারে অবস্থিত। এসএসবি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে। সেখানে অমিত শাহ শিলিগুড়ি করিডোরের কৌশলগত গুরুত্ব জোর দিয়ে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ভারত উপমহাদেশের একটি ‘স্ল্লিমেস্ট’ অংশ হলো এই শিলিগুড়ি করিডোর। এটি ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে পুরো উত্তরপূর্বাঞ্চলকে যুক্ত করেছে। এসএসবি’র হাতে নিরাপদ আছে এই অঞ্চল। অমিত শাহ আরও বলেন, এ অঞ্চলে এসএসবি’র উপস্থিতি আমাদের আস্থা বাড়িয়েছে। আমরা বলতে পারি এই করিডোর নিরাপদ আছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টেলিগ্রাফ। এতে বলা হয়, শিলিগুড়ি করিডোর চিকেন নেক নামেও পরিচিত। এর উত্তরে নেপাল। দক্ষিণে বাংলাদেশ। এই চিকেন নেক প্রায় ২৪ কিলোমিটার চওড়া। চীন সীমান্ত থেকে এর দূরত্ব ২০০ কিলোমিটারের কম। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দায়িত্বশীল অনেক মাধ্যম থেকে এই চিকেন নেক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। টেলিগ্রাফের রিপোর্টে অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টার এই চিকেন নেক নিয়ে দেয়া পোস্ট ও পরে তা মুছে ফেলার বিষয়ও তুলে ধরা হয়। এর প্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

তবে এসএসবি’র কর্মসূচিতে বক্তব্য দেয়ার সময় অমিত শাহ বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন- শিলিগুড়ি করিডোরের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি যে জোর দিয়েছেন তা চোখে পড়ার মতো। অমিত শাহ বলেন, এটা পরিষ্কার যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলছে- শিলিগুড়ি করিডোরের নিরাপত্তায় সক্ষম ভারতীয় বাহিনী। সেখানে কোনোরকম সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তা কঠোরতার সঙ্গে মোকাবিলা করা হবে।

নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও সামনের সারিতে দায়িত্ব পালন করে এসএসবি। তাদের ভূমিকার এদিন প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করে প্রহরা দেয়া ভিন্ন বিষয়। কিন্তু এসএসবি পাহারা দেয় যেসব সীমান্তে বেড়া নেই, সেখানে। এর সদস্যরা এখন পর্যন্ত মানবপাচার, মাদক পাচার, আগ্নেয়াস্ত্র ও নকল মুদ্রা পাচার থামাতে পেরেছেন। ওইসব সীমান্ত দিয়ে দেশে ভারত বিরোধীদের বিভিন্ন প্রচেষ্টা তারা থামাতে পেরেছেন। ওদিকে সেনাবাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেছেন, ৫ই আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে দেশ ছাড়ার পর পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল এবং উত্তরপূর্ব ভারতে সতর্ক করা হয়েছে সব কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের এজেন্সিগুলোকে। একটি সূত্র বলেছেন, ইন্দো-বাংলা সীমান্ত দিয়ে কোনো অশুভ উদ্যোগ প্রতিরোধ করতে শিলিগুড়ি করিডোরে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে নিরাপত্তা বিষয়ক এজেন্সিগুলো।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।