ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানে বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ

নিউজ ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সরকারের আলোচনায় কোনো সমাধান না আসায় দেশটির চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। একই সঙ্গে, খানের মুক্তির দাবিতে আন্তর্জাতিক মহলে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে, সমর্থন ক্রমেই বাড়ছে।
২০২২ সালে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া ইমরান খান গত বছর দুর্নীতি ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে কারাবন্দি হন। এই অভিযোগগুলোকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। চলতি মাসে একটি জমি সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় ইমরানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় তার স্ত্রীকেও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ২০২৩ সালের মে মাসে দলীয় প্রধানকে কেন্দ্র করে হওয়া সহিংসতা তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সরকার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আলোচনা ভেস্তে যায়।
পিটিআইয়ের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম উপদেষ্টা জুলফি বুখারি বলেন, সরকার বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনে রাজি না হওয়ায় আলোচনা বন্ধ হয়েছে। এর ফলে দেশ আবার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার দিকে যাবে।
পিটিআই গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক আসনে জয়ী হলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সামরিক-সমর্থিত সরকার পিটিআইয়ের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত পাকিস্তানি কমিউনিটি সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং ট্রাম্প প্রশাসনের উপদেষ্টা রিচার্ড গ্রেনেল এক টুইটে ইমরান খানকে ‘মিথ্যা অভিযোগে বন্দি’ আখ্যা দিয়ে বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক মামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
দক্ষিণ ক্যারোলিনার কংগ্রেসম্যান জো উইলসন সম্প্রতি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ইমরানের মুক্তির আহ্বান জানান। এর আগে, গত অক্টোবরে একদল ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পাকিস্তানের ওপর চাপ প্রয়োগের অনুরোধ জানান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহিদ মৈতলা বলেন, পিটিআইয়ের আন্তর্জাতিক প্রভাব এমন এক স্তরে পৌঁছেছে, যা পাকিস্তানের সরকারকেও বিব্রত করছে।
ইমরান খানের মুক্তি এবং তার দলের ওপর দমনপীড়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।