মিয়ানমারে স্ক্যাম সেন্টারগুলোতে অভিযান, ৭ হাজারের বেশি মানুষ আটক

মিয়ানমারে স্ক্যাম সেন্টারগুলোতে অভিযান, ৭ হাজারের বেশি মানুষ আটক

মিয়ানমারে স্ক্যাম সেন্টারগুলোতে অভিযান, ৭ হাজারের বেশি মানুষ আটক
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের মিয়াওয়াড্ডিতে অপরাধী চক্রের দখলে থাকা স্ক্যাম সেন্টার বা ক্যাম্পগুলোয় অভিযান চালিয়ে সাত হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। ২৮টি দেশের এসব নাগরিককে আটক করেছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড ফোর্স। থাই নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

সম্প্রতি চীন, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার যৌথভাবে সীমান্তে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে অভিযান শুরু করে যা এখনও চলমান রয়েছে। প্রতিবেদন মতে, উদ্ধার হওয়ার ৭ হাজার জনের মধ্যে ৪ হাজার ৮৬০ জন চীনা নাগরিক, ৫৭২ ভিয়েতনামের ও ৫২৬ জন ভারতীয় আছে। এছাড়া পাঁচশোর বেশি আফ্রিকান নাগরিকও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা অপরাধীদের অভয়ারণ্য হিসেবে কুখ্যাত। এখানে প্রতারকরা গড়ে তুলেছে এক ধরনের ‘স্ক্যাম সেন্টার’, যেখানে হয় নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এমন অসংখ্য স্ক্যাম সেন্টারে বিশ্বের বহু দেশের মানুষকেও আটকে রেখে অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করা হয়।

সেখানে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিও বন্দি রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, অন্তত ২৪ জন বাংলাদেশি সেখানে বন্দি রয়েছেন। তাদের অনেককে করতে হচ্ছে মানবেতর জীবনযাপন। অবশ্য সেখান থেকে তিনজনকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তে যেসব বাংলাদেশি নাগরিক বন্দি বা মানবেতর জীবনযাপন করছেন, তাদের বেশিরভাগই সেখানে গিয়েছেন দুবাই থেকে। দালালদের প্রলোভনে পড়ে তারা বেশি টাকা আয়ের আশায় দুবাই থেকে সেখানে যান। পরে অনেকেই প্রতারক চক্রের হাতে বন্দী হয়ে পড়েন। বাধ্য হন স্ক্যাম সেন্টারে কাজ করতে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।