গুইমারায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাই খেল সন্ত্রাসী মার্টিন চাকমা

গুইমারায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাই খেল সন্ত্রাসী মার্টিন চাকমা

গুইমারায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাই খেল সন্ত্রাসী মার্টিন চাকমা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় চাঁদাবাজির সময় স্থানীয় জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন মার্টিন চাকমা নামে এক কুখ্যাত সন্ত্রাসী। বুধবার (৭ মে) সকালে উপজেলার দেওয়ানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মার্টিন চাকমা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। আজও একই উদ্দেশ্যে এলাকাবাসীর কাছে গিয়ে চাঁদা দাবি করলে ক্ষুব্ধ জনতা তাকে আটক করে বেদম মারধর করে। পরে খবর পেয়ে গুইমারা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মার্টিনকে উদ্ধার করে। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয়ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

এলাকাবাসী নিংহ্লা মারমা বলেন, “মার্টিন প্রায়ই মোবাইলে হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদা চাইত। আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলাম।”

আরেক বাসিন্দা পাইচা চিং বলেন, “সে নিজেকে ‘পার্টির লোক’ দাবি করে জাতির মুক্তির নামে আমাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করত। বহুবার বাধা দিলেও কোনো লাভ হয়নি।”

মার্টিন চাকমা (৩১), রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ঢুলুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পিতা নিরঞ্জন চাকমা ও মাতা শুভপুতি চাকমার ছেলে মার্টিন দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য অঞ্চলে চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসা, ডাকাতি ও অপহরণের মতো অপরাধে জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

এর আগে, ২০২২ সালের ২১ আগস্ট মার্টিনকে সেনাবাহিনী ঘাগড়া ৩ইবি এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। সে সময় মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেলেও, পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। কাউখালীতে দোকানদার লিটন চাকমাকে অপহরণ করে ৩ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনাসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পরে স্থানীয় চাপে সে এলাকা ছাড়ে বলে জানা যায়।

জনসাধারণের দাবি, মার্টিন চাকমার মতো অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।