পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভাজনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পিসিসিপির মানববন্ধন

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভাজনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পিসিসিপির মানববন্ধন

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভাজনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পিসিসিপির মানববন্ধন
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

মাইকেল চাকমাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি, জাতীয় ঐক্য প্রশ্নে আপস নয়

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পৃথক স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গঠনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ মে) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

সম্প্রতি সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর নেতা মাইকেল চাকমা ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এর কাছে তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যা স্পষ্টত একটি দেশবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র। এ ঘটনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে পিসিসিপি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভাজনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পিসিসিপির মানববন্ধন

মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, “মাইকেল চাকমা একজন দেশদ্রোহী ও সন্ত্রাসী। তাঁর নেতৃত্বে ইউপিডিএফ দীর্ঘদিন ধরে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অস্ত্রধারণ ও সাম্প্রদায়িক উস্কানির মতো অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। এখন সেই সন্ত্রাসীই দেশবিরোধী প্রস্তাব দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের অখণ্ডতা ধ্বংসের চক্রান্ত করছে।”

বক্তারা আরও বলেন, “ইউপিডিএফ ও মাইকেল চাকমার এই পরিকল্পনা আসলে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার নীলনকশারই প্রতিফলন। পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের সহায়ক রাজ্যে পরিণত করার এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টা এ অঞ্চলের শান্তিকামী মানুষ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।”

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভাজনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পিসিসিপির মানববন্ধন

মানববন্ধন থেকে বক্তারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেন:

১. মাইকেল চাকমাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

২. ইউপিডিএফসহ সকল বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

৩. জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে দেশবিরোধী দোসরদের অপসারণ করতে হবে।

৪. পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতীয় ঐক্য, সার্বভৌমত্ব ও শান্তি রক্ষায় সরকারকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পার্বত্য জনতা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভাজনের কোনো চক্রান্তই সফল হতে দেওয়া হবে না।”

পিসিসিপির নেতারা বলেন, “আমরা জাতীয় ঐক্য, সংহতি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস করবো না। এই ভূমি আমাদের, এবং একে রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি।”

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।