রাবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকি, পিসিসিপির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
![]()
নিউজ ডেস্ক
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত মতামতের জেরে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটি।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ০৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ রাকিবুল হাসান সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ‘আদিবাসী’ শব্দের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে একটি মতামত প্রকাশ করেন। বিষয়টি একাডেমিক ও সংবিধানসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করা হলেও, ‘Chakma Biju’ নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে তাকে সরাসরি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুরে হুমকির ঘটনা ঘটে। পরদিন বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। একইসঙ্গে হুমকিদাতা ফেসবুক আইডি শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। একাডেমিক চর্চার অংশ হিসেবে প্রকাশিত একটি মতের পরিপ্রেক্ষিতে হত্যার হুমকি প্রদান করা শুধু অবিবেচকের কাজ নয়, এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এ ধরনের হুমকি কেবল একজন শিক্ষার্থীর নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে না, বরং শিক্ষাঙ্গনের স্বাধীনতা, সহনশীলতা ও নিরাপদ পরিবেশকে চ্যালেঞ্জ করে।”
পিসিসিপি বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করে, “এই ঘটনা পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙালি শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতা ও নিরাপত্তা কতটুকু রয়েছে, তার একটি ভয়ংকর দৃষ্টান্ত। এটি শুধু রাকিবুলের নয়, বরং সমগ্র বাঙালি জনগোষ্ঠীর আত্মমর্যাদা ও অধিকারへの সরাসরি আঘাত।”
সংগঠনটি চার দফা দাবি উত্থাপন করেছে:
১. রাকিবুল হাসানকে হত্যার হুমকি প্রদানকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ পদক্ষেপ।
৩. পাহাড়ে সকল জনগণের জন্য সমান নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।
৪. ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের হুমকি দিতে সাহস না পায়, সে জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটি জানিয়েছে, “বাংলাদেশের কোনো অঞ্চলেই মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব হতে দেওয়া হবে না। সকল নাগরিকের নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষায় আমরা সচেতন ও সোচ্চার থাকব।”
ঘটনাটি সামাজিক ও শিক্ষাগত পরিসরে উদ্বেগজনক নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে শিক্ষার্থী মহলসহ সচেতন নাগরিকরা।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।