আসামের শিক্ষককে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

আসামের শিক্ষককে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

আসামের শিক্ষককে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতের আসাম রাজ্যের বাসিন্দা এক স্কুল শিক্ষককে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোরে কু‌ড়িগ্রা‌মের রৌমারী উপ‌জেলার বড়াইবা‌ড়ী সীমান্তের ১০৬৭ নম্বর সীমানা পিলারের ‘নো ম্যান্স ল্যান্ড’ এলাকা দিয়ে তাকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।

পুশ-ইনের শিকার স্কুলশিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘আসামের মিকিরভিটায় আমাদের মাটি (জমি) আছে, ঘরবাড়ি আছে। আমি সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। আমার মা-বাবা সেখানের আদি বাসিন্দা। আমার বড় ভাই ও মা সেখানকার ওয়ার্ড মেম্বার।’

তিন বলেন, ‘২৩ মে আমাকে এসপি অফিসে তুলে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখান থেকে ভারতের গোয়ালপাড়া জেলার মাটিয়া ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়। গতকাল (সোমবার) ওই ক্যাম্প থেকে ফজরের নামাজের আগে কাঁটাতার পার করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।’

খায়রুল বলেন, ‘সীমান্তে পাঠানোর আগে আমার সাথী ভাইবোনদের সবার হাতে ২০০ টাকা, পানির বোতল ও প্যাকেট খাবার দেওয়া হয়। কেউ আসতে রাজি না হলে মারধর করে। আমাদের জোর করে সীমান্তে প্রবেশ করানো হয়।’

খায়রুল ইসলাম নন, তার সঙ্গে আরও ১৪ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে (পুশ ইন) বিএসএফ। এর মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী।

বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া ব্যক্তিরা জানান, তারা ভারতের আসামের বা‌সিন্দা। ঠেলে পাঠানোর সময় তাঁদের প্রত্যেকের হাতে বাংলাদেশি ২০০ টাকা, একটি পানির বোতল ও খাবারের প্যাকেট ধরিয়ে দেয় বিএসএফ। পরে তাদের জোরপূর্বক ঠেলে বাংলাদেশে পাঠায়। কেউ আসতে না চাইলে তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

জামালপুর ৩৫ বি‌জি‌বি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল হাসানুর রহমান বলেন, ‘আটক ১৪ জনকে বড়াইবা‌ড়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তারা মূলত কোন দে‌শের নাগ‌রিক সেটা যাচাই–বাছাই ক‌রে পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।