টেকনাফে জেলে আটককে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ, ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও আহত ৯
![]()
নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকায় এক জেলেকে আটকের জেরে সোমবার (৯ জুন) বিকেলে সড়ক অবরোধ, বিজিবির সঙ্গে স্থানীয়দের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মে হ্নীলা বিওপি’র একটি টহলদল মাদক পাচারবিরোধী অভিযানে গেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০) নামের একজনকে আটক করতে গেলে স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ৪০–৫০ জন ব্যক্তি বিজিবির টহল দলের কাজে বাধা দেয়। অভিযোগে বলা হয়, জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসহ বিজিবি সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর টেকনাফ মডেল থানায় জাহাঙ্গীরসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০–৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এই মামলার ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে খারাংখালী বিওপি কমান্ডারের নেতৃত্বে বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল পূর্ব মৌলভীবাজার এলাকার আজিজুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে বিওপিতে নিয়ে আসে। আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে জাহাঙ্গীরের অনুসারীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে ব্যাটালিয়ন সদর থেকে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়।
বিজিবির ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা ভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি, জাহাঙ্গীর আলম কোনো মাদক চোরাকারবারি নন, তিনি পেশায় একজন জেলে। নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় জালসহ তাকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা মারধর করে বিওপিতে নিয়ে যান। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিকেল থেকেই স্থানীয়রা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। সড়ক অবরোধের কারণে টানা সাড়ে চার ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
সন্ধ্যার দিকে বিজিবির অতিরিক্ত সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের রাস্তা ছাড়তে বললে উত্তেজিত জনতা ইটপাটকেল ছুড়ে মারলে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজিবি সদস্যরা একাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৮–৯ জন গুলিবিদ্ধ হয় বলে এলাকাবাসী দাবি করেছে। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তা জোরদার রাখতে বিজিবির অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।