চট্টগ্রামে নাগরিক সভা: পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভারতীয় ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যের আহ্বান

চট্টগ্রামে নাগরিক সভা: পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভারতীয় ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যের আহ্বান

চট্টগ্রামে নাগরিক সভা: পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভারতীয় ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যের আহ্বান
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রাম অঞ্চলকে ঘিরে ভারতের কৌশলগত আগ্রাসন ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূ-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানে এক নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে “সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ” এই নাগরিক সভার আয়োজন করে।

সভায় বক্তারা চট্টগ্রামের ‘চিকেন নেক’ করিডোর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের জন্য বরাদ্দকৃত জমির বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন—এই জমি বরাদ্দ জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী, যা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার জন্য হুমকি।

নাগরিক সভার প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন,

“আমরা ইতিহাস ভুলে যাওয়া জাতি। আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সন্ত্রাস চালাচ্ছে। অথচ সরকার নীরব। এখন সময় এসেছে রাজপথে আন্দোলনের।”

চট্টগ্রামে নাগরিক সভা: পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভারতীয় ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যের আহ্বান

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মজিবুর রহমান মজিব। তিনি বলেন,

“চিকেন নেক করিডোরের মতো কৌশলগত এলাকা ভারতের দখলে গেলে তা শুধু জাতীয় নিরাপত্তা নয়, সমগ্র চট্টগ্রাম অঞ্চলের জন্য ভয়াবহ সংকেত।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন: ড. কাজী মোঃ বরকত আলী, অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ, চবি, এরশাদ উল্লাহ, আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি,  এডভোকেট গোলাম ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান, এবি পার্টি, মাওলানা মোহাম্মদ সোহায়েল, ধর্মীয় বক্তা, আসিফ ইকবাল, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ, অ্যাডভোকেট ফাহিম শরিফ খান, জনসংহতি আন্দোলনের সংগঠক।

সভায় সভাপতিত্ব করেন এডভোকেট পারভেজ তালুকদার, উপদেষ্টা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এবং সঞ্চালনা করেন প্রভাষক এম. শাজাহান সাজু।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত বিদ্বেষ ও বিচ্ছিন্নতাবাদকে ব্যবহার করে ভারত দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক আধিপত্য তৈরির লক্ষ্যে ‘ইকোনোমিক জোন’ প্রকল্পকে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

সভার বক্তারা ভারতকে বরাদ্দ দেওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের জমি বাতিল, পার্বত্য এলাকায় সন্ত্রাসবাদ দমন এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলসমূহে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্থায়ী উপস্থিতি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

নাগরিক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।