রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মইনেপাড়া এলাকায় প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও সেনাবাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন এবং অস্ত্রসহ তিন ইউপিডিএফ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি এসএমজি রাইফেল, বিপুল পরিমাণ গুলি ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২৩ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাঙামাটির ফুরোমন সেনা ক্যাম্প থেকে একটি পেট্রোল দল বের হয়। কিছুক্ষণ পর একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোনে ইউপিডিএফ সদস্যরা সেনাবাহিনীর পেট্রোল কমান্ডারকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। তবে পেট্রোল কমান্ডার পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাকাটি নিরাপত্তার আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রাখেন। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর অন্যান্য টহল দল কুতুকছড়ি এলাকাকে ব্লক করে এবং বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাতে শুরু করে।
আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টা ১০ মিনিটে সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোন এর অধীন ক্যাপ্টেন আসিফ হাসান শোভনের নেতৃত্বে সেনা টহলদলটি মইনেপাড়া স্কুলসংলগ্ন এলাকায় ইউপিডিএফ ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তীব্র গুলিবিনিময় হয়। গোলাগুলিতে সেনাবাহিনীর সৈনিক মো. তরিকুজ্জামান খান ডান হাতে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ইউপিডিএফ (প্রসীত)-এর তিন সদস্যকে এসএমজি রাইফেল, পিস্তল ও রাইফেলের গুলি, বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম এবং পরিচয়পত্রসহ আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন—মনসুখ চাকমা (৫০), সিন্ধু মনি চাকমা (২৩), ও অন্তর চাকমা (১৯)। এছাড়া গোলাগুলির সময় স্থানীয় এক পাহাড়ি ব্যক্তি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, এখনও এলাকায় অভিযান চলমান রয়েছে এবং ইউপিডিএফ-এর সশস্ত্র ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।