রোয়াংছড়ি-রুমায় পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে, ফিরছেন গ্রামবাসীরা

রোয়াংছড়ি-রুমায় পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে, ফিরছেন গ্রামবাসীরা

রোয়াংছড়ি-রুমায় পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে, ফিরছেন গ্রামবাসীরা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে। অস্থিরতার কারণে পালিয়ে থাকা অনেক লোকজন তাদের গ্রামে ফিরে আসছে। কেএনএফের দুই সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন।

গত বছরের শুরু থেকেই রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার বিভিন্ন পাড়ায় কেএনএফের তৎপরতায় অস্থিরতা বিরাজ করছিল। এই অস্থিরতার কারণে অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। কিছু পরিবার ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছিল।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসায় ৮৯টি পরিবারের ৩০০-এর বেশি লোকজন তাদের গ্রামে ফিরে আসছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রোয়াললিং বম ও লালপেক লিয়ান বম। তারা কেএনএফ ছেড়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পণকারীদের নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসন থেকে নানা সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে এলাকায় দেখা গেছে, দুর্গম পাড়াগুলোতে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। ফিরে আসা লোকজন তাদের জরাজীর্ণ ঘরবাড়ি সংস্কার করছেন আবার অনেকে জুম চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ভারত মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন সুংসং পাড়ায় বম স্যোশাল কাউন্সিল ও নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছিল।

সভায় সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার, বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার, বম স্যোশাল কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

বম স্যোশাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজার লম বম জানান, কিছুদিন আগেও দুর্গম এলাকার অনেক পাড়া গ্রাম খালি পড়ে ছিল। সন্ত্রাসী তৎপরতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আতঙ্কিত লোকজন পালিয়ে গিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তারা ফিরে আসছে। সেনাবাহিনী ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে।

রেমাক্রি প্রাংশা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম জানান, যারা এখনো এলাকার বাইরে রয়েছে তাদেরকে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীও সহায়তা করছে।

সেনাবাহিনীর ১৬ ইবির অধিনায়ক লে: কর্নেল সৈয়দ আতিকুর করিম জানান, সন্ত্রাস নির্মূলে নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে এবং আত্মসমর্পণকারীদের সহায়তা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে পেজ খুলে ২০২২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ। বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার নয়টি উপজেলা নিয়ে একটি আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণাও দেয় তারা। কয়েকটি সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি এবং হত্যার অভিযোগ উঠতে থাকে শুরু থেকেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের পর আলোচনার টেবিলেও বসে তারা। কিন্তু এর মধ্যেই বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় দু’টি ব্যাংকের তিনটি শাখায় সশস্ত্র হামলা করে টাকা ও অস্ত্র লুটের পর আলোচনায় আসে এই সশস্ত সংগঠনটি। গত দুই বছরে এই সংগঠনটির সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ছয় সেনা সদস্যসহ অন্ততপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়। গ্রেফতার করা হয় কেএনএফের দেড়শতাধিক সদস্যকে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।