ভারতের ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমন অভিযানে বড় সাফল্য, অস্ত্রসহ ২৩ জন নেতার আত্মসমর্পণ
 
                 
নিউজ ডেস্ক
ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে মাওবাদী দমন অভিযানে বড় ধরনের অগ্রগতি পেয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। রাজ্যের সুকমা জেলায় একযোগে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছেন ২৩ জন মাওবাদী নেতা ও সদস্য।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রের বরাতে জানা যায়, শনিবার তারা সুকমা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণকারীদের সবার নামেই রাজ্য সরকারের ঘোষিত পুরস্কার ছিল, যার সম্মিলিত পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১৮ লক্ষ রুপি।
এর আগে একদিন আগেই ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় ২২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারও আগে দন্তেওয়ারা জেলায় আত্মসমর্পণ করেন ১৩ জন মাওবাদী নেতা। পরপর এই আত্মসমর্পণগুলোকে নিরাপত্তা বাহিনীর সফল সমন্বিত অভিযান এবং সরকারের নতুন নীতিমালার সুফল হিসেবে দেখছে দেশটির প্রশাসন।
পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী কমান্ডার রয়েছেন, যাদের মধ্যে কারো মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ রুপি পর্যন্ত। তারা ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলে বহু নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। আত্মসমর্পণকারী একজন ২০১২ সালে বস্তারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক অ্যালেক্স পাল মেননের অপহরণে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলেও জানা গেছে।
এদিকে ছত্তিশগড় সরকার সম্প্রতি ‘নকশাল আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি ২০২৫’ শীর্ষক একটি নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে, যেখানে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের জন্য রয়েছে আর্থিক পুরস্কার, পুনর্বাসন, চাকরি ও সন্তানদের শিক্ষায় সহায়তার ব্যবস্থা। শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান ও লাইট মেশিনগানসহ আত্মসমর্পণকারীদের জন্য বাড়তি নগদ পুরস্কারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। যদি কোনো মাওবাদী ইউনিটের ৮০ শতাংশ সদস্য একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করেন, তবে দ্বিগুণ পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ভারত সরকারের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত নকশাল বা মাওবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে চলছে সামরিক ও প্রশাসনিক অভিযান। ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশ—এই অঞ্চলগুলোতে সংগঠনটির সক্রিয়তা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
