রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাস, মাদক ও মাইন বিস্ফোরণ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাস, মাদক ও মাইন বিস্ফোরণ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাস, মাদক ও মাইন বিস্ফোরণ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক পাচার ও মাইন বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঠেকাতে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি উখিয়ার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে টাওয়ার থেকে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি), আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, “সীমান্তে যেন আর মাইন বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে সক্রিয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, বিশেষ করে নবী হোসেনের মতো অস্ত্রধারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গোয়েন্দা নজরদারি ও যৌথ অভিযান বাড়ানোর নির্দেশ দেন উপদেষ্টা। পাশাপাশি, পরিবেশ রক্ষায় উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প এলাকায় এক লাখের বেশি বৃক্ষরোপণেরও নির্দেশনা দেন তিনি।

এর আগে দুপুরে কক্সবাজার বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও জেলার অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ” বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের সমন্বয় সভায় অংশ নেন উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সভায় রোহিঙ্গা সংকট, সীমান্ত পরিস্থিতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “মাদক সমাজকে ধ্বংস করছে। এটি রোধে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে গণমাধ্যমকেও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় হতে হবে।”

সভায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, এপিবিএন, আনসার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা, মানবিকতা ও কূটনৈতিকভাবে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের কঠোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।