নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে ১২ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করল বিজিবি

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে ১২ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করল বিজিবি

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে ১২ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করল বিজিবি
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রায় ৪ লাখ পিস বার্মিজ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি)-এর ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এস এম খায়রুল আলম।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভোররাতে ঘুমধুম বিওপি অধীনস্থ একটি বিশেষ টহল দল ভোর ৫টার দিকে সীমান্তবর্তী পশ্চিম দরগাহ বিল কবরস্থান এলাকায় মাদক চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা দ্রুত পালিয়ে গেলেও তারা বস্তায় মোড়ানো বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ফেলে যায়। পরে ওই বস্তা থেকে ৪ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

বিজিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের পরিচালিত অভিযানের মধ্যে এটি অন্যতম বড় মাদকবিরোধী অভিযান। শুধু এই অভিযানেই ১২ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হলেও গত ছয় মাসে (এপ্রিল ২০২৫ থেকে অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত) ৩৪ বিজিবি পরিচালিত বিভিন্ন অভিযানে মোট ১৩ লাখ ৪১ হাজার ১৩৫ পিস ইয়াবাসহ সর্বমোট ৪০ কোটি ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩১০ টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।

একই সময়ে ১০ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার ৮২১ টাকার চোরাচালানী পণ্য—যার মধ্যে ছিল সিগারেট, গবাদি পশু, সার, সিমেন্ট, প্রসাধনী, ঔষধ, জ্বালানী তেল, হার্ডওয়্যার সামগ্রী ও অন্যান্য রশদ—জব্দ করে বিজিবি। সব মিলিয়ে এ সময়কালে মোট ৫০ কোটি ৭৯ লাখ ৩০ হাজার ১৩১ টাকার মাদক ও চোরাচালানী মালামাল আটক করা সম্ভব হয় এবং ৯৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়া সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের কল্যাণে নানা মানবিক কর্মকাণ্ড যেমন মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, বিদ্যালয়ে খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণ, দুঃস্থ নারীদের সেলাই মেশিন প্রদান, বৌদ্ধ বিহারে অনুদান এবং মাইন বিস্ফোরণে আহতদের সহায়তা প্রদানও অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এস এম খায়রুল আলম বলেন, “বিজিবি শুধু সীমান্ত পাহারা দেয় না, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধেও সমান ভূমিকা রাখছে। এই সাফল্য তারই প্রমাণ। ভবিষ্যতেও সীমান্তে জিরো টলারেন্স নীতিতে অভিযান চলবে।”

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলমান থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে এ সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার বেড়েছে বলে নজরদারিতে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *