বান্দরবানের বম জনগোষ্ঠীর জব্দকৃত মোটরসাইকেল ফেরত দিল সেনাবাহিনী, সহায়তা ও নিরাপত্তার আশ্বাস

বান্দরবানের বম জনগোষ্ঠীর জব্দকৃত মোটরসাইকেল ফেরত দিল সেনাবাহিনী, সহায়তা ও নিরাপত্তার আশ্বাস

বান্দরবানের বম জনগোষ্ঠীর জব্দকৃত মোটরসাইকেল ফেরত দিল সেনাবাহিনী, সহায়তা ও নিরাপত্তার আশ্বাস
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবানের থানচি উপজেলার বাকলাই ক্যাম্প এলাকায় জব্দকৃত মোটরসাইকেল স্ব স্ব মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রবিবার (২০ জুলাই) প্রাতাপাড়া এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে বম জনগোষ্ঠীর হাতে মোটরসাইকেলের চাবি ও মানবিক সহায়তা হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ম্যাজিস্ট্রিক টাইগার্স অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ আতিকুল করিম এবং বাকলাই ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আসিফ জুবায়ের, যিনি মোটরসাইকেল হস্তান্তরের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন এস.এ. হাসনাত, প্রাতাপাড়ার পাড়া প্রধান পারকেল বম, স্থানীয় বাসিন্দা ও সেনাসদস্যরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জঙ্গি কার্যক্রমে লিপ্ত হয় এবং দেশীয় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়। এসব কর্মকাণ্ডের জেরে সেনাবাহিনী সন্ত্রাস দমনে অভিযান পরিচালনা করে। পরিস্থিতির অবনতি হলে প্রায় ১৩টি গ্রামের বম পরিবার আতঙ্কে ভারতের মিজোরাম ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেয়। ওই সময় সেনাবাহিনী কর্তৃক সন্দেহজনক যানবাহন জব্দ করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় বম পরিবারগুলো ধীরে ধীরে নিজ গ্রামে ফিরতে শুরু করে। ফিরতি পরিবারগুলোর মধ্যে রোয়াল চম বমের পরিবার তাদের ব্যবহৃত দুইটি মোটরসাইকেল ফেরত পান এবং কিছু মানবিক সহায়তাও গ্রহণ করেন।

রোয়াল চম বম বলেন, “আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আতঙ্কে মিজোরামে পালিয়ে গিয়েছিলাম। সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফিরে এসেছি এবং আমার মোটরসাইকেল বুঝে পেয়েছি। এখন আমি নিজ গৃহে ভালো আছি। সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞ।”

পাড়া প্রধান পারকেল বম বলেন, “আমাদের গ্রামের অনেকে এখনো তাদের মোটরসাইকেল ফেরত পাননি। তবে সেনাবাহিনী আশ্বাস দিয়েছে কাগজপত্র যাচাই করে সবার জিনিস ফেরত দেওয়া হবে।”

বাকলাই সাব জোন ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আসিফ জুবায়ের বলেন, “যাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, তারা সবাই পর্যায়ক্রমে তাদের মোটরসাইকেল বুঝে পাবেন। পাহাড়ের শান্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও উন্নয়নে সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রচেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকবে।”

উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্প্রীতি বজায় রেখে উন্নয়ন ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।