প্রকৃতি ও বৈচিত্র রক্ষা করেই কাপ্তাই লেকে ড্রেজিং কাজ শুরু করছে সরকার- দীপংকর তালুকদার - Southeast Asia Journal

প্রকৃতি ও বৈচিত্র রক্ষা করেই কাপ্তাই লেকে ড্রেজিং কাজ শুরু করছে সরকার- দীপংকর তালুকদার

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

প্রকৃতি ও বৈচিত্র রক্ষা করেই সরকার কাপ্তাই লেকের বিভিন্ন স্থানে ড্রেজিং ও খননের উদ্যেগ নিয়েছে জানিয়ে রাঙামাটি ২৯৯নং আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, এতদিন ধরে কাপ্তাই লেকের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সমীক্ষা চালিয়েছে, কোন কোন জায়গায় ড্রেজিং ও খনন করা যায়। তিনি বলেন, শুধু কয়েকটি জায়গায় ড্রেজিং করলে আবারো পলি জমে ভরাট হয়ে যাবে। আগে যে নদীগুলো ছিল সেগুলো কোথায় ছিল তা খুঁজে বের করে সেইভাবে কাজ করলে সুফল পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, রাঙামাটি এমনিতেই পাহাড় ধসের শংঙ্কা রয়েছে। তাই যাই পরিকল্পনা হাতে নেয়া হউক না কেন, যাতে করে ভূ-প্রকৃতিগতভাবে কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই প্রকল্প শুরু করতে হবে।

দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, কাপ্তাই লেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ হারিয়েছে, এসব মাছের উৎপাদন কিভাবে বাড়ানো যায় এনিয়ে গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তাই গবেষণা করলে হবে না, এর রেজাল্ট দিতে হবে। আর রেজাল্ট দিতে গেলে আমাদের ভরাট রোধ ও কাপ্তাই লেককে দুষণমুক্ত রাখতে হবে। তাই হলে মাছের উৎপাদন বাড়বে।

২৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে “পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় নৌ-পথের নাব্যতা উন্নয়ন এবং ল্যান্ডিং সুবিধাদি উন্নয়ন কল্পে সম্ভাব্যতা যাচাই” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব-উল- ইসলামসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, কাপ্তাই হ্রদ প্রতিদিন যেভাবে দখল ও দূষণ হচ্ছে তাতে কয়েক বছরের মধ্যে প্রকৃত চেহারা হারিয়ে যাবে। হ্রদ দখল ও দূষণ রোধে প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া শুধু কয়েকটি জায়গায় ড্রেজিং করলে আবারো পলি জমে ভরাট হয়ে যাবে জানিয়ে বক্তারা পরিকল্পনার মাধ্যমে আগে নদীগুলোকে চিহ্নি করে খনন কাজ করলে সুফল পাওয়া যাবে বলেও জানান।

কর্মশালায় জানানো হয়, সমীক্ষায় শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা বৃদ্ধি, নৌ পথ এর উন্নয়ন, বর্তমান ঘাটের প্রস্তাবনা, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি বন্যা ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশেষজ্ঞ দলের সমীক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ৬টি নদীর উপর সমীক্ষা শেষ হয়েছে, এগুলো হচ্ছে কাসালং নদী ১৫৯ কি.মি, মাইনী নদী ১২৯ কি.মি (রাঙ্গামাটি/খাগড়াছড়ি), চেঙ্গী নদী ১৩৯ কি.মি (রাঙ্গামাটি/খাগড়াছড়ি), রাংখাইন নদী ১৩৫ কি.মি, শুভলং-মরমছড়া (ছলক নদী) ৪৫ কি.মি, ডলু-টংকাবতি খাল ৫৫ কি.মি (বান্দরবান/চট্টগ্রাম)। হাড়িয়াছাড়া নদী (কাপ্তাই খাল) ৪০ কি.মি নদীতে অচিরেই সার্ভে শুরু করা হবে, এছাড়া গুইমারা খাল (খাগড়াছড়ি) ২১ কি.মি নদীতে সার্ভে বিবেচনাধীন রয়েছে।