বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনী নিয়ে বিতর্ক, মুসলিম ভোটার বাদ যাওয়ার অভিযোগ

বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনী নিয়ে বিতর্ক, মুসলিম ভোটার বাদ যাওয়ার অভিযোগ

বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনী নিয়ে বিতর্ক, মুসলিম ভোটার বাদ যাওয়ার অভিযোগ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিহার রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী কার্যক্রম (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন–এসআইআর) সম্পন্ন করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। তবে বিরোধী দল ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, প্রক্রিয়াটি তড়িঘড়ি করে চালানোয় ব্যাপক অনিয়ম ঘটেছে।

২৫ জুন থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত চলা এই সংশোধনীতে কমিশনের দাবি, রাজ্যের ৭ কোটি ৮৯ লাখ তালিকাভুক্ত ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করা হয়েছে। ২০০৩ সালের পর এ ধরনের বৃহৎ উদ্যোগ আর নেওয়া হয়নি। নতুন খসড়া তালিকায় ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ২৪ লাখ, যা আগের চেয়ে ৬৫ লাখ কম। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, বাদ যাওয়া ভোটারের মধ্যে ২২ লাখ মৃত, সাত লাখের নাম একাধিকবার এসেছে এবং ৩৬ লাখ অন্য রাজ্যে চলে গেছেন।

সংশোধনের জন্য ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এক লাখ ৬৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কমিশনের পরিকল্পনা, দেশজুড়েই একশ কোটি ভোটারের তথ্য যাচাই কার্যক্রম চালানো হবে।

তবে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, বিশেষত বিহারের চারটি সীমান্তবর্তী জেলায় মুসলিম ভোটারদের বড় অংশকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা ক্ষমতাসীন বিজেপির জন্য নির্বাচনী সুবিধা সৃষ্টি করবে। কমিশন ও বিজেপি অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কমিশন বলেছে, ‘ভ্রান্ত তথ্য’ ছড়ানোর দায় তারা নেবে না।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কিশনগঞ্জ জেলায় ভোটার বাদ পড়ার হার বেশি হলেও অন্য মুসলিম-প্রধান এলাকায় এমন প্রবণতা দেখা যায়নি।

ইস্যুটি দেশটির পার্লামেন্টে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিরোধীরা পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে স্লোগান দিয়েছে—‘মোদি হায় হায়’, ‘এসআইআর বাতিল করো’, ‘ভোট চুরি বন্ধ করো’।

নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা এডিআর সুপ্রিম কোর্টে সময়সীমা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জগদীপ চক্কার বিবিসিকে বলেন, ভোটের মাত্র তিন মাস আগে এত বড় যাচাই কার্যক্রম চালানো হলেও পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি, ফলে তথ্য সংগ্রহে বড় ধরনের ত্রুটি হয়েছে।

এডিআরের মতে, এই প্রক্রিয়ায় দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বহু প্রকৃত ভোটার ভোটাধিকার হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিকের জন্য নিজের ও পিতামাতার প্রমাণপত্র দাখিলের স্বল্প সময়সীমা মেনে চলা প্রায় অসম্ভব।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

You may have missed