রাঙামাটিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাথোয়াইচিং মারমাকে মাথা গোঁজার ঠাই করে দিল সেনাবাহিনী
নিউজ ডেস্ক
পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে আগুনে সব হারানো ক্যাথোয়াইচিং মারমার পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অগ্নিকাণ্ডে ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়নের আওতাধীন সদর জোনের উদ্যোগেই নতুন করে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেন এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুলাই কাউখালীর যৌথখামার এলাকায় দিনমজুর ক্যাথোয়াইচিং মারমার বাড়িটি অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। এতে পুরো পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানার পর দ্রুত উদ্যোগ নেয় সেনাবাহিনী। অল্প সময়ের মধ্যে একটি নতুন বসতঘর নির্মাণ করে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ঘরটি তাদের বুঝিয়ে দেন রাঙামাটি সদর জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. জুনায়েদ উদ্দিন শাহ চৌধুরী।
এসময় কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আতিকুর রহমান, রাঙামাটি সদর জোনের ক্যাপ্টেন সাদেকী আরাফান নিলয়, কাউখালী ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাকিব হোসেন শাওন, ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন, স্থানীয় হেডম্যান-কার্বারী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন আশ্রয় পেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ক্যাথোয়াইচিং মারমা বলেন, “সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। সেনাবাহিনী না থাকলে হয়তো বেঁচে থাকার ভরসাটুকুও হারাতাম। এখন অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলাম।”
এমন উদ্যোগে এলাকাজুড়ে স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতার আবহ তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনীর এই মানবিক সহায়তা কেবল একটি পরিবারের দুঃসময়ের অবসানই ঘটায়নি, বরং পাহাড়ে পারস্পরিক সহযোগিতার সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য এলাকায় প্রতিনিয়ত আগুন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নানা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে সেনাবাহিনী নিয়মিত সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
প্রসঙ্গত, ।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
