বান্দরবানে প্রকাশ্যে নারী অপহরণের দৃশ্য দাবিতে ভারতের পুরোনো ভিডিও প্রচার

বান্দরবানে প্রকাশ্যে নারী অপহরণের দৃশ্য দাবিতে ভারতের পুরোনো ভিডিও প্রচার

বান্দরবানে প্রকাশ্যে নারী অপহরণের দৃশ্য দাবিতে ভারতের পুরোনো ভিডিও প্রচার
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবানের রুমায় প্রকাশ্যে নারী অপহরণের দৃশ্য দাবিতে সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটির মাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে। কিন্তু ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে,  বাস্তবে এটা ভারতের উত্তর প্রদেশে এক মেয়েকে জোর করে মোটরসাইকেলে টেনে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও। তাই ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় উক্ত দাবিটি মিথ্যা।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানঃ 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির উৎস খুঁজে পাওয়ার জন্য শুরুতেই ভিডিওটি ব্যবহার করে রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হয়। এর ফলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম  Business Standard এর ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই প্রকাশিত একটি রিপোর্টে ভাইরাল ভিডিওটির অনুরূপ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। রিপোর্টটি থেকে জানা যায় আলোচিত ভিডিওটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের বরেলির। ভিডিওতে ভুক্তভোগী যেই মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছে, পরিবারের   সম্মতি ছাড়া তিনি একটি ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন। এর জন্য এই দম্পতিকে তার (মেয়েটির) পরিবারের লোকজন মারধর করে। এর পরে পরিবারের লোকজনই মেয়েটিকে অপহরণ করে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা ANI কে সোর্স হিসেবে উল্লেখ করে এই সকল তথ্য উল্লেখ করে Business Standard।

পরবর্তীতে ANI এর ওয়েবসাইটে এই ঘটনা সম্পর্কে ২০১৯ সালের ৩ জুলাই প্রকাশিত দুইটি রিপোর্ট () খুঁজে পাওয়া যায়। সেখান থেকে জানা যায় মেয়েটির না, সোনাম (Sonam) এবং তার স্বামীর নাম গুরবচন সিং (Gurbachan Singh)। ২০১৯ সালের ১ জুলাই আলোচিত ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ এই ঘটনাটি ঘটার দিনই গুরবচন সিং এবং সোনমকে উদ্ধার করে এবং একটি মামলা দায়ের করে। ANI ভোজিপুরা থানার একজন ইনচার্জের বরাত দিয়ে উল্লেখ করে “ কিছু লোক গুরবচন সিংয়ের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যখন তারা প্রতিবাদ জানায়, তখন তাদের দুজনকেই মারধর করা হয়। তারা দুজনেই এক বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন এবং গ্রাম ছেড়ে আলাদা জায়গায় থাকতে শুরু করেছিলেন। গ্রামে ফিরে আসার পর, সোনমের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন এবং তাকে নিয়ে যেতে আসেন।“(অনুবাদিত)

THE TIMES OF INDIA এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও এই একই ঘটনার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।

দেখা যাচ্ছে যে, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কোনো ঘটনার নয় বরং ২০১৯ সালের ভারতের একটি ঘটনার। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির উপর ভিত্তি করে করা দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।