মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটাল না দিল্লি হাইকোর্ট

মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটাল না দিল্লি হাইকোর্ট

মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটাল না দিল্লি হাইকোর্ট
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্নাতক ডিগ্রি নিয়েই রহস্য রয়ে গেল। দিল্লি হাইকোর্ট সোমবার (২৫ আগস্ট) দেওয়া রায়ে জানিয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় মোদীর ডিগ্রি প্রকাশে বাধ্য নয়। একইসঙ্গে বিজেপি নেত্রী ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির স্কুল পরীক্ষার ফল প্রকাশেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা যাবে না।

আদালতের বিচারপতি সচিন দত্ত বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘ব্যক্তিগত তথ্যের আওতাভুক্ত’; তাই তথ্য অধিকার আইনের (আরটিআই) অধীনে তা প্রকাশ করা জনস্বার্থ হিসেবে গণ্য হয় না।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। কৈশোরে বাড়ি ছাড়ার কারণে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। অথচ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রকাশ করা হয় যে তিনি ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৮৩ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তবে এসব সনদ নিয়েই একাধিক প্রশ্ন ও মামলা ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডিগ্রির নথি প্রকাশ করা হলে হাজারো শিক্ষার্থীর গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। এ কারণে তথ্য কমিশনের নির্দেশ মানা হয়নি।

এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও মোদীর ডিগ্রি প্রকাশের দাবি তুলেছিলেন। তবে গুজরাট হাইকোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তি মেনে নেয় এবং কেজরিওয়ালকে জরিমানা গুনতে হয়।

ফলত, এক দশকের বেশি সময় ধরে আলোচিত নরেন্দ্র মোদী ও স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক নতুন করে রহস্যই বাড়ালো দিল্লি হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।