দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে- স্পীকার

নিউজ ডেস্ক
২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়ে এ বিষয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন সমস্যা বিবেচনায় রেখে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য স্থানীয় জনসাধারণের দুর্ভোগের বিষয়টিও ভাবতে হবে।
স্পীকার তার বক্তব্যে আরো বলেন, পাহাড় কেটে বাসস্থান তৈরি ও অন্যান্য কারণে পরিবেশগত ক্ষতি, স্থানীয় জনগণের সাথে রোহিঙ্গাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের স্থানীয়রা দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের উন্নয়নেও কাজ করছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও জনসাধারণের সম্মিলিত প্রয়াসের কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দীর্ঘ সময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রয়েছে। এই পরিবেশ অব্যাহত রাখতে সকলকে সতর্কতার সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, নির্যাতিত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মাদার অব হিউম্যানিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্বে বিরল। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি সুন্দর জীবন সুরক্ষিত করতে ইতিমধ্যেই পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা ও সেবা নিশ্চিত করেছে সরকার।
গত ৫ জানুয়ারি রোববার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ও প্রত্যাবাসন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের কক্সবাজারস্থ প্রধানগণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম, সাইমুম সরোয়ার কমল, আশেকউল্লাহ রফিক, শাহীন চৌধুরী, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কক্সবাজারের ডিজিএফআই প্রধান, কক্সবাজারের এনএসআই অতিরিক্ত পরিচালক, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, পৌর মেয়র, ইউএনও বৃন্দ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্যবৃন্দ, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ ও গনমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।