পাকুয়াখালী গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসনের দাবি
![]()
নিউজ ডেস্ক
পাকুয়াখালী গণহত্যার বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন এবং প্রতি পরিবার থেকে একজনকে সরকারি চাকরি প্রদানের দাবিতে শোকসভা, দোয়া মাহফিল ও কবর জিয়ারতের আয়োজন করেছে ম্যাসাকার রিকুপ ফাউন্ডেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন রাঙামাটি জেলা আহ্বায়ক কমিটি।
আজ মঙ্গলবার সকালে লংগদু উপজেলা কনফারেন্স কক্ষে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন শান্তিবাহিনী ৩৫ জন নিরস্ত্র বাঙালি কাঠুরিয়াকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মোট ৩৬ পরিবারের মধ্যে ৩৫ জনকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয়। কেবল একজন—মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া কৌশলে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। তাঁর বেঁচে ফেরা সাক্ষ্যের মাধ্যমেই হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা উদঘাটিত হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, হত্যাকাণ্ডের পর সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও তার প্রতিবেদন আজও প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি প্রত্যক্ষদর্শী ইউনুস মিয়া মামলাও করেছিলেন, কিন্তু গত ২৯ বছরে কোনো বিচার হয়নি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো আজও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত এবং পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি।
শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন ম্যাসাকার রিকুপ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. ফজর আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সম-অধিকার আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. রকিব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, চেয়ারম্যান এবং সম-অধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা সম-অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. জহির উদ্দীন।
৩৫ কাঠুরিয়া পরিবারের সদস্য ছাড়াও লংগদু উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় তিন শতাধিক মানুষ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা অবিলম্বে এ গণহত্যার বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন এবং প্রতি পরিবার থেকে অন্তত একজনকে সরকারি চাকরির দাবি জানান।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।