জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে ইরানের নতুন চুক্তি
 
                “এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”
 
নিউজ ডেস্ক
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে নতুন একটি চুক্তি করেছে ইরান। চুক্তির আওতায় সংস্থার কর্মকর্তাদের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ফের পরিদর্শন শুরু করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে এজন্য স্ন্যাপব্যাক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল না করার শর্ত দিয়েছে তেহরান।
রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, গত মঙ্গলবার ইরান ও জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানায়, তারা পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন পুনরায় শুরু করার বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
চুক্তির আওতায় গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিমান হামলায় বিধ্বস্ত পরমাণু কেন্দ্রগুলোও রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয় হয়নি। তেহরান পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়েছে, স্ন্যাপ ব্যানিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করা হলে চুক্তিটি বাতিল হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার মিশরের রাজধানী কায়রোয় আইএইএ মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। গ্রোসি ও আরাঘচি বৈঠকটি ছিল ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আইএইএ-এর সঙ্গে ইরানের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
ওই বৈঠকের পর নতুন চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন তারা। এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আরাঘচি বলেন, ইরানের সার্বভৌমত্বকে সম্মান এবং দেশটির জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার পূর্বশর্তে আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে রাজি হয়েছে তেহরান। গ্রোসি বলেন, ‘এই সমঝোতা সঠিক পথে একটি পদক্ষেপ। এটি এমন একটি দরজা যা আমরা এখন খুলে দিচ্ছি।’
ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে- দাবি করে গত জুন মাসে ইরানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল। ইরানের পাল্টা হামলার মধ্যদিয়ে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত। ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনার পাশাপাশি দেশটির বহু শহরে সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী।
এক পর্যায়ে হামলায় যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ১২ দিন পর উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ইসরাইলি ও মার্কিন হামলার জন্য অইএইএকে অভিযুক্ত করে এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করে তেহরান। যার প্রেক্ষিতে আইএইএ পরিদর্শকরা তেহরান ত্যাগ করতে বাধ্য হন। তবে গত মাসে আবার আইএইএর একটি দলকে অল্প সময়ের জন্য বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করতে দেয়া হয়।
তবে এ সময় হামলার শিকার ফোরদো ও নাতাঞ্জসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে হুঁশিয়ারির পর গত আগস্টে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রক্রিয়া শুরু করে।
ইউরোপীয় দেশ তিনটির দাবি, ইরান ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির প্রতিশ্রুতি মানছে না। ইরান এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ বলে নিন্দা জানায় এবং স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, এর ফলে ভবিষ্যতের যেকোনো আলোচনায় ইউরোপীয় শক্তিগুলোকে বাদ দেয়া হতে পারে। এরপর নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। 
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
