বাঘাইছড়ির মারিশ্যা জোনে গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভা

বাঘাইছড়ির মারিশ্যা জোনে গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভা

বাঘাইছড়ির মারিশ্যা জোনে গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে চলমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আলোচনা ও দুর্গাপূজা কালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ২৭ বিজিবি মারিশ্যা জোনের সভাকক্ষে গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভার সভাপতিত্ব করেন মারিশ্যা জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ শাহিন, সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, ১৩ আনসার ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম, বাঘাইছড়ি থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবিরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, ধর্মীয় বিশিষ্টজন ও প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন এলাকার সাংবাদিকরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাঘাইছড়িতে সরব নিরাপত্তা, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখায় সম্পৃক্ত সকল শ্রেণির লোকের দায়িত্ব ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক খাগড়াছড়ি ইস্যু নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক গুজব ছড়ানো ও উস্কানিমূলক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ না করার জন্য সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানানো হয়।

জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, “পাহাড়ি ও বাঙালি—সবাই মিলে মিশে সম্প্রীতি বজায় রাখাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। কোনো গুজবে কান না দিয়ে সজাগ থাকতে হবে। বাঘাইছড়ির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের সবার কাঁধে দায়িত্ব—যদি কেউ চিন্তা করে সম্প্রীতি বিনষ্ট করবে, তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।”

তিনি আরও জানান, দুর্গাপূজা ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাতে জোন ও স্থানীয় প্রশাসন সর্বাত্মক সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রদান করবে।

স্থানীয় নেতারা বলেন, প্রতিটি স্তরের জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, হেডম্যান ও সমাজকর্মীদের মাঠে থেকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর থাকতে হবে এবং সন্দেহজনক ঘটনার তথ্য দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জানাতে হবে। শিক্ষক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের এবং তরুণদের গুজব ও দাঙ্গানির্দেশমূলক বক্তব্য থেকে বিরত রাখতে সমাজ-স্তরে প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি জানান।

সভায় বক্তারা আরও আবেদন জানান—সব ধর্ম সম্প্রদায়ের নাগরিক শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালন করবেন এবং কোনোরকম উস্কানীমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন না। স্থানীয় প্রশাসন ও বিজিবি অতিরিক্ত টহল, ভলেন্টিয়ার নিয়োগ ও সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করবে বলে সভায় জানানো হয়।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

You may have missed