ভূমি কমিশনের বৈঠক বাতিল ও ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বান্দরবানে পিসিসিপির সংবাদ সম্মেলন

ভূমি কমিশনের বৈঠক বাতিল ও ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বান্দরবানে পিসিসিপির সংবাদ সম্মেলন

ভূমি কমিশনের বৈঠক বাতিল ও ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বান্দরবানে পিসিসিপির সংবাদ সম্মেলন
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের আসন্ন বৈঠক বাতিল ও ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে বান্দরবানে সংবাদ সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) বান্দরবান জেলা শাখা।

বৃহস্পতিবার সকালে শহরের একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেন, ভূমি কমিশনের গঠন ও কার্যপ্রণালী “একপেশে ও সংবিধানবিরোধী”। তারা দাবি করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত প্রায় ৫২ শতাংশ বাঙালি জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি কমিশনে না থাকায় এ কমিশনের সিদ্ধান্ত বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভূমি অধিকারকে বিপন্ন করবে।

পিসিসিপির নেতারা বলেন, “কমিশনের ৯ সদস্যের মধ্যে ৩ জন সার্কেল চিফ (রাজা), ৩ জন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ১ জন আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান—মোট ৭ জনই উপজাতি সম্প্রদায়ের। ফলে কমিশনে বাঙালি জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। কমিশনের সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে গৃহীত হওয়ায় একতরফা রায় আসার আশঙ্কা প্রবল।”

তারা আরও অভিযোগ করেন, ভূমি কমিশনের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ না রাখায় এটি সংবিধানের পরিপন্থী এবং একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে ভূমিহীন করার পরিকল্পনা।

বক্তারা জানান, আগামী ১৯ অক্টোবর রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে, যা স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। পিসিসিপি জানায়, তাদের ঘোষিত ৮ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভূমি কমিশনের কোনো বৈঠক করা যাবে না। অন্যথায় সভাস্থল ঘেরাও ও অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে পিসিসিপি নেতারা তাদের ৮ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখ করেন—

  • জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা,
  • ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির পূর্বে পূর্ণাঙ্গ ভূমি জরিপ সম্পন্ন করা,
  • সংবিধানবিরোধী ২০১৬ সালের সংশোধনী আইন বাতিল করা,
  • সমতলের মতো জেলা প্রশাসকদের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান,
  • ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি খাস জমিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা,
  • চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ২০০১ সালের আইনের ধারা অনুযায়ী পুনর্বহাল,
  • তথাকথিত প্রথা ও রীতির পরিবর্তে দেশের প্রচলিত ভূমি আইন অনুসারে কার্যক্রম পরিচালনা,
  • সরকার কর্তৃক বন্দোবস্তীকৃত বা কবুলিয়তপ্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ না করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি বান্দরবান জেলার সহ-সভাপতি জমির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর হোসেন ইমন, যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইব্রাহীমসহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।