সংঘাত নিরসনে দোহায় বৈঠকে বসছে আফগানিস্তান-পাকিস্তান
![]()
নিউজ ডেস্ক
চলমান সংঘাত নিরসনে কাতারের দোহায় আলোচনায় বসছেন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা। কাতারের উদ্যোগে আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে দ্য নেশন।
প্রতিবেদন অনুসারে, তালেবানের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো নিশ্চিত করেছে, আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদের নেতৃত্বে ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তানের একটি প্রতিনিধি দল আজ শুক্রবার দোহায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করবে।
যদিও পাকিস্তান এখনও এই আলোচনার বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আগেই নিশ্চিত করেছে যে, সাম্প্রতিক সীমান্ত বিরোধ নিরসনের জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে পিটিভি ডিজিটাল জানিয়েছে, উভয় পক্ষের মধ্যে একটি আলোচনার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে সময় বা স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
কয়েকদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) আফগানিস্তানের অনুরোধে পাকিস্তান ও তালেবান সরকার ৪৮ ঘণ্টার জন্য অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। আজ সন্ধ্যায় এই যুদ্ধবিরতি শেষ হবে।
যুদ্ধবিরতির দিনই আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ জানায়, দোহায় আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ। অন্যদিকে পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা থাকতে পারেন।
এরপর পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানান, কাতার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সংলাপ সহজতর করতে ইচ্ছুক।
উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. আব্দুল আজিজ আল-খুলাইফির কাছ থেকে একটি বার্তা পেয়েছেন, যিনি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে পাকিস্তানের গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন। দার কাতারের অব্যাহত সমর্থন এবং মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।
গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে হঠাৎ দুটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আফগান রাজধানী কাবুল। এখানেই শেষ নয়, কয়েকশ’ কিলোমিটার দূরে আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী একটি বাজারের আরও একটি বিস্ফোরণ ঘটে।
ওই বিস্ফোরণের জন্য তালিবান সরকার পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে বলে, পাকিস্তান আফগানিস্তানের ‘সার্বভৌম ভূখণ্ড’ লঙ্ঘন করেছে। ইসলামাবাদ বিস্ফোরণের কথা সরাসরি অস্বীকার করেনি। এর জবাবে গত শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে পাল্টা হামলা চালায় আফগান সেনারা। জবাবে হামলা চালায় পাক বাহিনী।
পরদিন রোববার (১২ অক্টোবর) আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসনের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, শনিবার রাতে তাদের বাহিনীর ‘প্রতিশোধমূলক’ হামলায় অন্তত ৫৮ জন পাক সেনা নিহত হয়েছে।
পাকিস্তানের দাবি, পাকিস্তানে বিনা উসকানিতে হামলা চালায় আফগান বাহিনী। পাল্টা অভিযানে ২০০ জনেরও বেশি আফগান তালেবানকে হত্যার দাবি করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। সেই সঙ্গে আফগান হামলায় ২৩ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানায় ইসলামাবাদ।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।