ইউপিডিএফের গুলিতে নিহত তিন পাহাড়ি হত্যার বিচারের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ পিসিসিপির

ইউপিডিএফের গুলিতে নিহত তিন পাহাড়ি হত্যার বিচারের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ পিসিসিপির

ইউপিডিএফের গুলিতে নিহত তিন পাহাড়ি হত্যার বিচারের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ পিসিসিপির
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল শহরের বনরূপা আলিফ মার্কেটস্থ কেন্দ্রীয় স্থানে বড় এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা ইউপিডিএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদলের গুলিতে রামসু বাজারে নিহত তিনজন সাধারণ পাহাড়ি যুবকের ন্যায্য বিচার দাবি করে এবং আগাম সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন করতে প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজ। সঞ্চালনা করেছেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ হোসেন। বক্তৃতা ও প্রতিবাদপত্র পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জাতীয় লিগ্যাল এইড কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার, জেলা সহ-সভাপতি কাজী জালোয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নূর হোসেন, জেলা সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম ও সরকারি কলেজ শাখার নেতা নয়ন বড়ুয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ২৭-২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারা পরিসরে সংঘটিত সহিংসতা, রাস্তা অবরোধ ও উত্তেজনা সৃষ্টি করে ইউপিডিএফ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো পরিকল্পিতভাবে পার্বত্য এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে। তারা বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর রামসু বাজারে বিক্ষোভ-উত্তেজনার সময় উঁচু পাহাড় থেকে ইউপিডিএফ সশস্ত্র দলের সদস্যরা অটোমেটিক আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যভিত্তিক গুলিবর্ষণ করে। ওই গুলিতে তিনজন সাধারণ পাহাড়ি যুবক—আখ্র মারমা, আথুইপ্রু মারমা ও থৈইচিং মারমা— মারা যান বলে স্থানীয় ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সভায় পিসিসিপি নেতারা আরও বলেন, ইউপিডিএফ একদিকে সাধারণ পাহাড়ি জনগণকে উসকানি দিয়ে বিক্ষোভ করাচ্ছে, অন্যদিকে পাহাড়ের চূড়া থেকে গুলি বর্ষণ করে নিজ কায়দায় জনমত তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে—যা নিয়েই তারা সহিংসতার নেপথ্যে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।

সমাবেশে পিসিসিপি দাবি করে—
১) রামসু বাজারে ঘটিত ঘটনায় সরাসরি জড়িত সকল ইউপিডিএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে হবে,
২) নিহত তিনজনের যথাযথ ফরেনসিক তদন্ত ও স্বতন্ত্র, নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা দিতে হবে,
৩) পাহাড়ে সংগঠিত সন্ত্রাস, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও নাশকতার কুশীলবদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের সমন্বিত কঠোর অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

বক্তারা পাহাড়-সমতলের সকল জনগোষ্ঠীকে—ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, বাঙালি এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষদের—শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্যের প্রতি জোর দেওয়ার আহ্বান জানান এবং ইউপিডিএফের মিথ্যা প্রচারণা ও বিভেদের রাজনীতিকে বয়কট করার অনুরোধ করেন। তারা সতর্ক করে বলেন, “গুটিকয়েক সশস্ত্র সন্ত্রাসীর ষড়যন্ত্র কখনও ঐক্যবদ্ধ জাতির সামনে সফল হবে না।”

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *