ভারতের জাতীয় সংগীত থেকে দুর্গাবিষয়ক স্তবক বাদ, ৯৮ বছর পর নতুন মোড়

ভারতের জাতীয় সংগীত থেকে দুর্গাবিষয়ক স্তবক বাদ, ৯৮ বছর পর নতুন মোড়

ভারতের জাতীয় সংগীত থেকে দুর্গাবিষয়ক স্তবক বাদ, ৯৮ বছর পর নতুন মোড়
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতের জাতীয় সংগীত ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তিতে দেশটিতে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি অভিযোগ করেছে, ১৯৩৭ সালে কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি জওহরলাল নেহেরু ইচ্ছাকৃতভাবে গানটির মূল সংস্করণ থেকে দেবী দুর্গাকে নিবেদিত স্তবক বাদ দেন।

এই ঘটনার ৯৮ বছর পর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির মুখপাত্র সি আর কেশবন এক বিস্তারিত পোস্টে দাবি করেন, কংগ্রেস ‘ঐতিহাসিক পাপ ও ভুল’ করেছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী-নেহেরুর কারণে গানটির সংক্ষিপ্ত সংস্করণ প্রকাশ পায়, যেখানে দেবী দুর্গার প্রশংসা সম্বলিত লাইনগুলো বাদ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন,‘১৯৩৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর নেহেরু লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম-এর কথাগুলোর সঙ্গে দেবীর কোনো সম্পর্ক আছে বলা ‘হাস্যকর’। আর একই বছরের ২০ অক্টোবর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে লেখা চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, গানটির পটভূমি মুসলিমদের বিরক্ত করতে পারে।’ সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব উঠে এসেছে।

কেশবনের অভিযোগ, নেতাজি পূর্ণাঙ্গ এবং মূল সংস্করণ প্রকাশে সমর্থন দিলেও নেহেরু মনে করতেন, গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে ‘উপযুক্ত নয়’।এদিন নয়াদিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী ইনডোর স্টেডিয়ামে বন্দে মাতরম-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের পূর্বে এই দাবি সামনে আসায় বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে।

বিজেপি নেতা বলেন,‘এই গান কোনো ধর্ম বা ভাষার নিজস্ব সম্পত্তি নয়। কিন্তু নেহেরুর নেতৃত্বে কংগ্রেস ধর্মীয় অজুহাতে দেবী দুর্গার বন্দনা রয়েছে এমন স্তবকগুলো বাদ দিয়ে গুরুতর ঐতিহাসিক ভুল করেছে।’

তিনি আরও বলেন, নেহেরুর কথিত ‘হিন্দু বিরোধী মানসিকতা’ বর্তমান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মধ্যেও প্রতিফলিত হচ্ছে। ছটপূজাকে রাহুল ‘নাটক’ বলে সমালোচনা করায় কোটি ভক্তের অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কেশবন।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত বন্দে মাতরম ১৮৮২ সালে আনন্দমঠ উপন্যাসে প্রকাশ পায়। ‘বঙ্গদর্শন’ সাময়িকীতে প্রথম প্রকাশিত হওয়ার পরে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী স্লোগানে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে এর প্রথম দুই স্তবক আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের জাতীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহার হয়।

এই অভিযোগের বিষয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, স্বাধীনতা আন্দোলনের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এ ধরনের বিতর্ক উসকে দিয়ে বিজেপি জাতীয়তাবাদ ও হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি আরও জোরালো করতে চাইছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed