সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ছয়দিন পর পুনরায় সক্রিয় সাজেকের নেটওয়ার্ক সেবা
![]()
নিউজ ডেস্ক
দুষ্কৃতিকারীদের চাঁদাবাজির উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়ায় ফাইবার অপটিক কেবল কেটে দেওয়ার কারণে টানা ছয়দিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর অবশেষে পুনরায় সচল হয়েছে পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্র সাজেক অঞ্চলের মোবাইল নেটওয়ার্ক।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্রুত, সমন্বিত ও কার্যকর তৎপরতায় এ সমস্যার সমাধান হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে স্থানীয় জনগণ, পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে সাজেকের শুকনোছড়া ও করেঙ্গাতলী এলাকায় ফাইবার অপটিক কেবল কেটে দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। এর ফলে বাঘাইহাট, গঙ্গারাম, শুকনোছড়া এবং বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পুরোপুরি মোবাইল নেটওয়ার্কবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নেটওয়ার্ক না থাকায় দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় চরম ভোগান্তি নেমে আসে। ব্যবসায়ীরা লেনদেন, বুকিং, ডিজিটাল পেমেন্টে বড় ধরনের সমস্যায় পড়েন; অভিভাবকরা দূরে থাকা সন্তান-স্বজনদের খবর নিতে না পেরে উদ্বেগে থাকেন; আর পর্যটকদের অবস্থাও হয়ে ওঠে দুর্বিষহ।

যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতায় তারা নিরাপত্তা ও যাতায়াতসংক্রান্ত নানা ঝুঁকির মুখে পড়েন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ১৬ নভেম্বর দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত ) মেজর এম এম জিল্লুর রহমান-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম শুকনোছড়া এলাকায় প্রবেশ করে। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে দলটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত কেবল শনাক্ত করে মেরামত শুরু করে এবং সফলভাবে নেটওয়ার্ক সংযোগ পুনর্বহাল করে।
নেটওয়ার্ক সচল হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাজেকজুড়ে স্বস্তি ও আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা জানান, সেনাবাহিনীর এহেন দ্রুত পদক্ষেপ না থাকলে আরও দীর্ঘসময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা ভোগ করতে হতো। পর্যটক এবং ব্যবসায়ী মহলেও সেনাবাহিনীর কার্যকর সহায়তা প্রশংসিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নজরদারির পাশাপাশি জনবান্ধব উদ্যোগে বরাবরই কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।