রাঙ্গামাটিতে যুবলীগ কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী আটক, জেলা সাধারণ সম্পাদকের হুঁশিয়ারি - Southeast Asia Journal

রাঙ্গামাটিতে যুবলীগ কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী আটক, জেলা সাধারণ সম্পাদকের হুঁশিয়ারি

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সম্প্রতি রাঙ্গামাটিতে চাঁদার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্ধে রাতের আঁধারে যুবলীগে নেতাকে হত্যার উদ্যেশ্যে হামলার ঘটনায় এক ছাত্রলীগ কর্মী আটকের ঘটনায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাঙ্গামাটির অন্যতম প্রভাবশালী ছাত্রনেতা ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা। নিজের ফেইসবুক ওয়ালে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ট্যাগ দিয়ে তিনি লেখেন,

“আমি বারবার বলছি, রাঙ্গামাটি শহর যুবলীগের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মী নাসিরের উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক, এ ঘটনায় রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ পরিবার খুবই ব্যথিত। গত ৮/২/২০২০ইং তারিখে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জেলা যুবলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের ভাষ্যমতে এবং তাদের দেওয়া তথ্যমতে বুঝতে বাকী নেই ঘটনাটি সম্পূর্ণ রাঙ্গামাটি জেলা যুবলীগের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মতপার্থক্যের বিষয়….!!! এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে জড়ানোর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও রহস্যজনক!!! আমাদের সাংগঠনিক অবিভাবক এবং রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক জননেতা জনাব দীপংকর তালুকদার এমপি মহোদয় জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ দু’নেতাকে(কামাল আংকেল এবং মতিন আংকেলকে) দায়িত্ব দিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই করে জেলা আওয়ামীলীগকে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে অবগত করার জন্য। উক্ত ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই করে সে বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে।”

এসময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,
“উনার(দাদার) নির্দেশ এবং পরামর্শকে অগ্রাহ্য করে কে বা কারা উক্ত ঘটনাটি দামাচাপা দিয়ে প্রাণপ্রিয় ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে জোরানোর জন্য বারবার অপচেষ্টা করছে তা আমরা জানি……। উক্ত ঘটনার বিষয়ে “দাদা” কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত রাঙ্গামাটি জেলার শীর্ষ দুজন আওয়ামীলীগ নেতার(কামাল-মতিন) নেতৃত্বে ফাইনাল বৈঠক(ছাত্রলীগ-যুবলীগের সাথে) শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন বিশেষ ক্ষমতাধর ব্যক্তির মোবাইল ফোনের চাপ বা নির্দেশে……যদি কোন ছাত্রলীগ কর্মীকে অতর্কিতভাবে গ্রেপ্তার করা হয়…..তাহলে রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ অন্য পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হবে।”

সবশেষে মিঃ প্রকাশ পুলিশ বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান,
“রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন কোন নেতা/কর্মীকে গ্রেপ্তার করার জন্য আমাদের দলের(আওয়ামী পন্থী) মধ্যে কোন বিশেষ নেতা যদি ফোন করে প্রশাসনকে বারবার চাপ দেয় সে ব্যক্তির নাম,পরিচয়,পদবীসহ বিস্তারিত আমাকে জানানোর জন্য(প্রকাশ চাকমা, সাধারণ সম্পাদক, রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ) স্বাধীন বাংলাদেশের গর্বিত আইন শৃংখলা বাহিনী তথা জনতার সেবক পুলিশ বাহিনীর (পুলিশ ভাইদের) প্রতি বিশেষ অনুরোধ রইলো”

এদিকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করার ৪৫ মিনিট পর সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা আরো একটি স্ট্যাটাস দেন যাতে তিনি সম্পূর্ণ বিষয়টিকে রহস্যময় উল্লেখ করে লিখেন,

“রাঙ্গামাটি শহর যুবলীগের অন্তর্ভুক্ত ইউনিট ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক নাসিরের বহিষ্কার, নাসির কর্তৃক সংবাদ সম্মেলন অতঃপর গণমাধ্যমে একে অপরকে দোষারোপ ইত্যাদি বিষয় জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক আভ্যন্তরীন বিষয়।
এসব বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগকে জোরানো মানেই বিষয়টি রহস্যজনক!!! মামলার বাদী ২নাম্বার আসামী করলো স্বয়ং রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাও আবার জেলা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে(শাখিলকে)……. রাজনীতির অংক বুঝিনা……!!!

এ দায়…. রাঙ্গামাটি জেলা যুবলীগের সম্মানিত সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এড়াতে পারেননা।”