সীমান্তে অভিযান চালিয়ে দেড় হাজারের বেশি বিদেশিকে আটকের দাবি মিয়ানমার জান্তার
![]()
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমারের দক্ষিণ-পুর্বের থাই সীমান্তের একটি ইন্টারনেট জালিয়াতির কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে গত পাঁচ দিনে প্রায় ১ হাজার ৬০০ বিদেশি নাগরিককে আটক করেছে মিয়ানমার জান্তা। রোববার (২৩ নভেম্বর) সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিস্তৃত জালিয়াতি কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। তারা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের থেকে বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধান সামরিক সমর্থক চীনের তদবিরের পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে জান্তা সরকার সীমান্তের জালিয়াতি কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ বলছে, সর্বশেষ প্রচারিত পরিসংখ্যানে জান্তা জানিয়েছে, ১৮ থেকে ২২ নভেম্বর জুয়া এবং জালিয়াতির কেন্দ্র শওয়ে কোক্কোর ওপর অভিযান চালিয়ে ‘মায়ানমারে অবৈধভাবে প্রবেশকারী ১ হাজার ৫৯০ বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

সংবাদপত্রটি বলছে, ‘কর্তৃপক্ষ ২ হাজার ৮৯৩টি কম্পিউটার, ২১ হাজার ৭৫০টি মোবাইল ফোন, ১০১টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট রিসিভার, ২১টি রাউটার এবং অনলাইন জালিয়াতি এবং জুয়া কার্যক্রমে ব্যবহৃত বিপুল সংখ্যক শিল্প-সামগ্রী জব্দ করেছে।’
গত মাসে এএফপির তদন্তে স্ক্যাম কম্পাউন্ডে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার তথ্য মেলে। এর ভিত্তিতে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থাটি বলেছে, তারা মিয়ানমারের সন্দেহভাজন স্ক্যাম সেন্টারগুলোর আশেপাশে ২ হাজার ৫০০টিরও বেশি স্টারলিংক ডিভাইস নিষ্ক্রিয় করেছে।
গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মায়ানমার জানিয়েছে, শোয়ে কোক্কোতে অনলাইন জালিয়াতি এবং জুয়া খেলার অভিযোগে অভিযুক্ত ২২৩ জনকে কেবল শনিবারই (২২ নভেম্বর) আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে ১০০ জন চীনা নাগরিকও রয়েছে।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জালিয়াতি কেন্দ্রগুলো ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব এশিয়ায় জালিয়াতির শিকার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩৭ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত প্রতারণা করা হয়েছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।