মণিপুরে জঙ্গিগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্যদের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান, বিপুল অস্ত্র–গোলাবারুদ জব্দ
![]()
নিউজ ডেস্ক
ভারতের মণিপুরজুড়ে চলমান নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে রাজ্য পুলিশ ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে। এসব অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
কাকচিং থানার গেট চেকপোস্টে বড় ধরনের সফলতা পায় পুলিশ। সেখানে ৫৬ বছর বয়সী রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স/পিপলস লিবারেশন আর্মি (আরপিএফ/পিএলএ)–এর সক্রিয় সদস্য ইউম্নাম তোম্বা সিংকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় একটি ৭.৬২ এলএমজি, একটি .৩০৩ এলএমজি, একটি এসএলআর রাইফেল, মোট ৫৮৩ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি এবং একটি মোবাইল ফোন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
একই দিন ইম্ফল পশ্চিম জেলার থিয়াম লেইশাংখং লাইরাক এলাকার নিজ বাসা থেকে ২৮ বছর বয়সী ওইনাম বিশোরজিত সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিষিদ্ধ গোষ্ঠী কেসিপি (পিডব্লিউজি)-এর হয়ে চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি মোবাইল ফোন ও চাঁদাবাজি থেকে সংগ্রহ করা ৩৪ হাজার রুপি।
ইম্ফল পশ্চিমে আরেক অভিযানে তাকিয়েলপাত গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কোয়ার্টার টাইপ–৩ এলাকায় বসবাসরত ৪০ বছর বয়সী আরপিএফ/পিএলএ-এর সক্রিয় সদস্য কোনজেংবম চন্দ্রকুমার সিংকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ৯ মিমি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ১৩ রাউন্ড গুলি এবং দুইটি মোবাইল ফোন।
এর আগের দিন তেংনৌপাল জেলার মোরেহ গেট নম্বর–২ এলাকার কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ১৮ বছর বয়সী প্রেপাক (প্রো)–এর সক্রিয় সদস্য কোনজেনবম সানাথোই সিংকে আটক করে।
এ ছাড়া গত ২২ নভেম্বর সিঙ্গজামেই থানার আওতাধীন হেইরাঙ্গোয়িথোং ব্রিজ এলাকা থেকে লুকানো অবস্থায় একটি .৩৮ পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে মণিপুর পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদাবাজি চক্র ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি ও আটক অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।