জাপানের পর ভূমিকম্পে কাঁপলো মিয়ানমার
![]()
নিউজ ডেস্ক
জাপানের পর মিয়ানমারে আঘাত হেনেছে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১টা ২১ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। খবর এএনআইয়ের।
এদিকে, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে জাপানের পূর্ব অওমোরি উপকূলের কাছে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এদিন স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর অওমোরি, ইওয়াতে ও হোক্কাইডোর উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (এনসিএস) তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের সর্বশেষ এই ভূমিকম্পটির ছিল দেশটির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে। আর এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার।
মিয়ানমারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটির তীব্রতা কম হলেও ধারাবাহিক কম্পনের কারণে মিয়ানমারে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ দেশটি চারটি সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় বেশ ভূমিকম্প প্রবণ। সেখানে যে কোনো সময় বড় মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।
এর একদিন আগে, সোমবার দিনে ৩ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। ওই ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। এরপরই আফটারশকের ঝুঁকি ছিল।
ভূমিকম্প ও সুনামির ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার অন্যতম। দেশটি চারটি সক্রিয় টেকটোনিক প্লেট- ভারতীয়, ইউরেশীয়, সুন্ডা ও বার্মা প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি। প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ট্রান্সফর্ম ফল্ট রেখা আন্দমান স্প্রেডিং সেন্টার থেকে উত্তরের সংঘর্ষ অঞ্চলের দিকে বিস্তৃত হয়ে তৈরি করেছে সাগাইং ফল্ট।
এএনআই জানায়, এই সাগাইং ফল্টই মিয়ানমারের সাগাইং, মান্দালে, বাগো ও ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের ভূমিকম্প ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। এই চার অঞ্চলে মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৬ শতাংশ বসবাস করে। যদিও ইয়াঙ্গুন ফল্ট লাইনের থেকে তুলনামূলক দূরে, তবুও ঘনবসতির কারণে ঝুঁকি অনেক বেশি।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৪ মাত্রার দুটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে মধ্য মিয়ানমারের বিশাল অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।