রাঙামাটিতে নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামী নিহত
 
নিউজ ডেস্ক
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তর্দলীয় কোন্দলের ফলসরূপ গোলাগুলিতে সুমন চাকমা নামে ইউপিডিএফ (প্রসীত) এর এক সন্ত্রাসী নিহত হবার পর এবার নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২০১৮ সালে জেলার নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান হত্যা মামলার আসামী ও প্রসীত পন্থি ইউপিডিএফের অস্ত্রধারী এক সন্ত্রাসী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার ভোরে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী অর্পন চাকমা নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামী বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে, নিরাপত্তাবাহিনীর রাঙ্গামাটি সদর জোন অধীনস্ত শুভলং ক্যাম্পের একটি টহল দল মাইসভাঙ্গা এলাকায় গেলে পাহাড়ের উপর আগে থেকে অবস্থান নেয়া একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আকস্মিকভাবে তাদের উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষন শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অতি দ্রুত অবস্থান নিয়ে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষন করতে থাকে। পরবর্তীতে ঘটনার খবর শুনে নিরাপত্তাবাহিনীর আরো একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে অর্পন চাকমার গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ, মৃতদেহের সাথে একটি ব্যাগে রক্ষিত মোবাইল ফোন, চাঁদার রশিদ ও অন্যান্য ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি অত্যাধুনিক বিদেশী পিস্তল, একটি দেশীয় অস্ত্র, বেশ কিছু পিস্তলের গুলি, এলজির কার্তুজ এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদিও উদ্ধার করা হয়।
সূত্রটি আরো জানায়, নিহত অর্পন চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা ইউপিডিএফ (প্রসীত) এর সশস্ত্র শাখার একজন সদস্য। সে ২০১৮ সালের ৩রা মে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে সংঘঠিত উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম প্রধান আসামি। এজাহার অনুযায়ী অর্পন চাকমাই তার কাছে থাকা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে শক্তিমান চাকমাকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত অর্পন চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা এবং তার সহযোগীরা বিগত তিন থেকে চার মাস ধরে বন্ধুকভাঙ্গার বানাসছড়ি এলাকায় নিয়মিতভাবে স্থানীয় জনগনের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করতো।
