খোঁজ মেলেনি অপহৃত ইউপি সদস্যের, অপরাধ বেড়েই চলেছে রাইখালীতে
![]()
নিউজ ডেস্ক
একের পর এক হত্যা, অপহরণ ও ডাকাতির মতো ঘটনায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের রাইখালী এলাকা এখন সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে স্থানীয়রা। রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়ার নিজ ঘর থেকে গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) রাত প্রায় ১১টায় ইউপি সদস্য মংচিং মারমাকে মুখোশধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার ৩দিন পর ২১ফেব্রুয়ারী তার স্ত্রী সামাউ মারমা চন্দ্রঘোনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। কিন্তু ঘটনার প্রায় অর্ধমাস পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি মংচিং মারমার, অন্যদিকে কোন আসামী গ্রেফতার বা অপহৃতের হদিস পায়নি পুলিশ।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক অপহরণকারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা আপনাদের যত ক্ষোভ দুঃখ তা বাহিরে মিটান কিন্তু আমার সাধারণ জনগণকে আর কষ্ট দিবেন না। মংচিং মারমার ছোট সন্তানদের দিকে তাকিয়ে হলেও তাকে মুক্তি দিলে আমরা আপনাদের উপর কৃতজ্ঞ থাকবো।”
ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সালাউদ্দিন বলেন, একজন সন্তানকে পিতৃহারা করবেন না। একজন স্ত্রীকে স্বামীহারা করবেন না। একজন ভাইকে ভাইহারা করবেন না। একজন মা বাবাকে পুত্রহারা-সন্তানহারা করবেন না। আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে, মানবিক দিক বিবেচনা করে অবিলম্ভে মংচিং মারমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জোড় দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় চন্দ্রঘোনা-বান্দরবান সড়ক রাইখালী ইউপির উদ্যোগে মংচিং মারমার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে ইউনিয়নবাসী। এসময় বক্তারা অপহৃতের শিশু সন্তানের দিকে তাকিয়ে হলেও অপহৃত ইউপি সদস্যকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
তবে অপহৃত ইউপি সদস্যকে উদ্ধারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান, চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফ উদ্দিন।