পাহাড়িদের অধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান - Southeast Asia Journal

পাহাড়িদের অধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

আজাদ মাস্টার

ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান আর্মির আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আমাদের স্বাধিকার অর্জনের যে দীর্ঘ সংগ্রাম চলছিলো তার একটা অধ্যায়ের সফল সমাপ্তি ঘটে। কিন্তু বিজয় অর্জনের চেয়ে তাকে সমুন্নত রাখা আরও কঠিন কাজ।

নয় মাস পাকিস্তান সামরিক জান্তারা প্রবল আক্রোশের সাথে চালিয়েছে হত্যাযজ্ঞ এবং ধ্বংসলীলা মাত্র নয় মাসের যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিলো ত্রিশ লক্ষ মানুষ এছাড়া আর্থিক এবং অবকাঠামোর ক্ষতির পরিমাণও ছিল ব্যাপক। আমাদের স্বাধীকার আদায়ের সংগ্রামকে একটা সাফল্যজনক পরিণতিতে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পালন করেছিলো আওয়ামীলীগ, বিজয়ের অর্জনের পর দেশ পুনর্গঠনের গুরুদায়িত্ব এই দলের উপরেই স্বাভাবিক নিয়মে বর্তায়।

যুদ্ধবিধস্ত সদ্যস্বাধীন দেশকে পুনর্গঠনের পাশাপাশি আওয়ামীলীগ সরকারকে ব্রিটিশ উপনিবেশিক এবং পাকিস্তান সামরিক জান্তার জিঁইয়ে রাখা কিছু অমীমাংসিত সমস্যাকেও মোকাবেলা করতে হয়েছিলো। আওয়ামীলীগের আদর্শিক ভিত্তি হচ্ছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, এই সম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ধারণ করে সাম্প্রদায়িক পাকিস্তান বাদ নামে দর্শনকে পরাজিত করা হয়েছিলো। বাংলাদেশের বেশীরভাগ অঞ্চল সমতলভূমি এবং সেইখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠী বাঙালি নামক নৃতাত্তি¡ক গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ভৌগলিক এলাকা মূল ভূখন্ড থেকে কিছুটা স্বতন্ত্র পাহাড় এবং উপত্যকায় পূর্ণ বলে এই অংশ পরিচিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নামে যা তিনটি জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান নিয়ে গঠিত।

প্রথমত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সাইনো তিব্বতি মঙ্গোলয়েড ১৪টি জাতিগোষ্ঠী এখানে ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেছে। প্রায় ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) জনসংখ্যার অভিবাসী উপজাতীয় নৃগোষ্ঠীর প্রধান দু’টি হলো চাকমা এবং মারমা। এরা ছাড়াও আছে ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, লুসাই, পাংখো, ম্রো, খিয়াং, বম, খুমি, চাক, গুর্খা, আসাম, সাঁওতাল। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি যা বাঙালীদের থেকে স্বতন্ত্র।

একদিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশের চারটি মূল নীতির অন্যতম হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে অপরদিকে এই ১৪টি জাতিগোষ্ঠী অধিকার সংরক্ষণের প্রশ্ন সামনে চলে আসে। এই দুই দ্বান্দিক অবস্থানের মধ্যে কীভাবে সমন্বয় করার চেষ্টা করেছেন সদ্যস্বাধীন দেশের সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তার বর্ণনা আমরা পাই শরদিন্দু শেখর চাকমার লেখায়। শরদিন্দু শেখর চাকমার জন্ম রাঙামাটির জেলার নানিয়াচরে ১৯৩৭ সালে, তিনি পাহাড়ের প্রথম দিককার উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি এমএ অর্জনকারীদের মধ্যে অন্যতম। পাহাড়ের ইতিহাস, সেইখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর সংগ্রাম অধিকার বঞ্চনা নিয়ে তিনি লিখেছেন অসংখ্য বই এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে “পার্বত্য চট্টগ্রামের সেকাল একাল”, “মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম”, “পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও বিপন্ন মানবতা” এবং “Ethnic cleansing in Chittagong Hill Tracts”।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান হতে স্বাধীন দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর তিনি নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করেন। এরপর শুরু হয় দেশের জন্য নতুন শাসনতন্ত্র রচনার কাজ। শাসনতন্ত্র রচনার কাজ শেষ হলে এবং সেটা গণপরিষদে গৃহীত হলে ১৯৭৩ সালের নতুন শাসনতন্ত্রের অধীনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনের পূর্বে বঙ্গবন্ধু রাঙামাটিতে যান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বুকে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভায় ভাষণ দেন। ঐ ভাষণে তিনি রাজা ত্রিদিব রায়ের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে তাকে তীব্র ভাষায় তিরস্কার করেন। উল্লেখ্য, পাকিস্তান হতে দেশে ফেরার পর বঙ্গবন্ধু রাজা ত্রিদিব রায়কে বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্যে তার মা বিনীতা রায়কে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলেন। তখন ত্রিদিব রায় জাতিসংঘে পাকিস্তানি প্রতিনিধি হিসাবে নিউইয়র্কে অবস্থান করেছিলেন। কিন্তু ত্রিদিব রায় দেশে ফেরত আসেননি পাকিস্তানেই থেকে যান। এইখানে উল্লেখ্য যে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় তিনি পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেন। শ্রীলঙ্কা, বার্মা, থাইল্যান্ড ইত্যাদি বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশগুলো সফরে গিয়ে পাকিস্তান সামরিক সরকারের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। এই কারনে বঙ্গবন্ধু ত্রিদিব রায়ের উপর খুবই নাখোশ হয়েছিলেন। ত্রিদিব রায়ের উপর খুবই নাখোশ হলেও বঙ্গবন্ধু রাজা ত্রিদিব রায়ের ছোট ভাই সমিত রায়কে রাঙামাটি সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দিতে আদেশ দিয়েছিলেন কারণ তখন রাজপরিবারের খুবই আর্থিক সঙ্কটে ছিল।

উল্লেখিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু যদিও বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্বপক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। তবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি এবং সামাজিক জীবনে কেউ হস্তক্ষেপ করবে না বলে পাহাড়িদের আশ^স্ত করেন। এবং বাঙালিদের পাহাগি জনগণের জায়গা জমি জোর করে দখল করার বিরুদ্ধে হুশিয়ার করে দেন। এরপর সরকার পাহাড়িদের ভূমি অধিকার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করে।

এইখানে স্মরণযোগ্য পাকিস্তান আমলে ষাটের দশকে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে টালমাটাল অবস্থার তৈরী হয় সেই সুযোগে নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কুমিল্লা জেলা হতে লোকজনের ব্যাপক হারে পার্বত্য চট্টগ্রামের অনুপ্রবেশ আরম্ভ হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পূর্বে বিশেষ করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত এলাকা বর্তমানে রামগড় থানার রামগড়, বড়বিল, তবলছড়ি ইত্যাদি মৌজা এবং মাটিরাঙার থানার বিভিন্ন মৌজায় বর্তমান ফেনী জেলা হতে ব্যাপক বাঙালিরা ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশ করে এবং সরকারি মদদে পাহাড়িদের জায়গা জমি দখল করে নেয়। স্বাধীনতার পর এই প্রক্রিয়া আরও বাড়তে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত পাহাড়িরা তাদের পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটি থেকে প্রায় উৎখাত হয়ে যায়।

রাজা ত্রিদিব রায় এবং অং শোয়ে প্রু চৌধুরী পাকিস্তানীদের পক্ষ অবলম্বন করায় এবং তাদের উস্কানিতে কিছু পাহাড়ি তরুণ রাজাকার বাহিনী ও সিভিল আর্মড ফোর্সে যোগদান করার অজুহাতে কিছু মতলববাজ ও সুযোগ সন্ধানী বাঙালি পার্বত্য চট্টগ্রামের সব পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীকে পাকিস্তানপন্থী এবং বাংলাদেশ বিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রচার চালায় পাহাড়িরা বাংলাদেশ বিরোধী এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ জিন্নাত আলী ছিলেন প্রচন্ড রকমের সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তির অধিকারী। তিনি সরকারকে আরও বেশি করে বাঙালি পুনর্বাসনের সুপারিশ করেন। পাহাড়িদের সৌভাগ্য যে জিন্নাত আলী বেশিদিন ডেপুটি কমিশনার ছিলেন না। তারপর জেলা প্রশাসক হিসাবে আসেন মোহাম্মদ সারাফত উল্লাহ। তিনিও বেশিদিন রাঙামাটি ছিলেন না।

এরপর জেলা প্রশাসক হিসেবে আসেন এ এম আব্দুল কাদের। রাঙামাটিতে আসার পূর্বে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর একজন বিশ্বাসভাজন ব্যক্তি ছিলেন। আব্দুল কাদের সত্যিকারভাবে একজন মানব দরদী এবং মানবতাবাদে বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন। তিনি পাহাড়িদের সরলতা এবং অসহায়তা বুঝতে পেরেছিলেন। তার সহকর্মী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একে ফজলুল হকও একজন মানব দরদী এবং সেকুলার ছিলেন। তিনিও ছিলেন বঙ্গবন্ধুর পরিচিত এবং তার আস্থাভাজন ব্যক্তি।

তারা উভয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন এবং বঙ্গবন্ধুকে বলেন যে, পাকিস্তান আমলে ষাটের দশকে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণে কাজ হলে এই অঞ্চলের এক লাখ লোক মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ উদ্ধাস্তু হয়ে যায় কৃষি জমির অভাবে তাঁদের পুনর্বাসন করা সম্ভব হয়নি। ফলে ৪০ হাজারের অধিক শরণার্থী হিসাবে ভারতের অরুণাচলে চলে যেতে বাধ্য হয় কারণ এইখানে কৃষি জমির পরিমাণ খুবই সামান্য সামগ্র জেলা উঁচু ভাগের পরিমানই বেশি। বঙ্গবন্ধু তাদের কথা বিশ্বাস করেন এবং ভূতপূর্ব ডেপুটি কমিশনার জিন্নাত আলীর পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি পুননির্বাসনের প্রস্তাব নাচক করে দেন।

বঙ্গবন্ধুর কিছু কাছে মানুষ তার কাছে চাকমাদের সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে তাদের সম্পর্কে ভুল ধারনা পোষন করাতে সক্ষম হয়েছিলো সেটা বঙ্গবন্ধু নিজেই জনসংহতির সমিতির নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে বাকশাল যোগদান করানোর সময়ে তাকে বলেন এবং এও বলেন তিনি এখন চাকমাদের জন্য কিছু করতে চান (সাপ্তাহিক ২০০০, ২৭ জুন ২০০৮)

১৯৭৫ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আবার রাঙামাটিতে যান। এ সময়ে তিনি স্থানীয় সাংসদ, হেডম্যান এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মত বিনিময় করেন তাঁদের সমস্যার কথা দাবিনামা মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং তাদেরকে জানান পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তিনি একটি সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, সেজন্যে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিন জেলায় ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি পাহাড়িদের ক্ষমতায়নের জন্যে তিন শত এবং রক্ষীবাহিনীতে দুইশ পাহাড়ি নিয়োগ দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। এছাড়াও পার্বত্য অঞ্চলের আর্থিক অগ্রগতির জন্যে শতকরা পঞ্চাশ ভাগ কর রেয়াতের শুল্ক হ্রাসের মতো স্কিমের ঘোষণা করেন।

তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীদের জন্য দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত আসন রাখার এবং বিদেশে শিক্ষার জন্য পাহাড়ি ছাত্রছাত্রী পাঠানোর জন্যে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে তখন কিছু চাকমা ছাত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন সহ কয়েকটি পূর্ব ইউরোপীয় দেশে ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যায়। রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধু বৃত্তি নামে একটা স্কিমের চালু করা হয় পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীদের জন্যে।

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আনারস বাজারজাত করণের জন্য একলক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা প্রদান করেন এইভাবে আর্থিক, শিক্ষা অর্থনীতিক উন্নয়নের জন্যে পাহাড়িদের জন্য কাজ করার অভিপ্রায়ও বঙ্গবন্ধুর ছিল।

পাহাড়িদের ক্ষমতায়নের বিষয়টাকেও তিনি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছিলেন। বাকশাল গঠন করার পর বঙ্গবন্ধু মানিকছড়ি মং চীফ মং প্রু সাইনকে খাগড়াছড়ি জেলার, বান্দরবনের বোমাং চিফ মং শোয়ে প্রু চৌধুরীকে বান্দরবন জেলার এবং জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং চাকমাদের আস্থাভাজন এএম আব্দুল কাদেরকে রাঙামাটি জেলার গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন। এছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলার জন্য অনন্ত বিহারি খীসাকে বান্দরবনে জেলায় বোমাং রাজার ছেলে কেএস প্রু-কে এবং রাঙামাটি জেলায় চারু বিকাশ চাকমাকে সেক্রেটারি হিসাবে নিয়োগ প্রদান করেন।

অবশ্য ১৫ আগস্টে তার নিহত হওয়ার পর পরবর্তী ক্ষমতায় আসা শাসকশ্রেণী তার সকল অনুমোদিত প্রকল্পই বাতিল করে দেয় এবং পরবর্তী সামরিক সরকারগুলি পাহাড়িদের ক্ষমতায়নের পরিবর্তে তাদেরকে উচ্ছেদের দিকেই বেশি উৎসাহ দেখায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে জানমাল রক্ষার্থে হাজার হাজার পাহাড়ি ভারতে শরণার্থী হিসাবে পালাতে বাধ্য হয়। হাজার হাজার পাহাড়ি প্রাণ হারায়। কাজেই বলা যায় বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়াণ না ঘটলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস হয়তো রক্তে রঞ্জিত হতো না।

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….বহুদিন রাজনীতি করেছি। আঠারো বছর বয়স থেকে। তখন বোধ হয় ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ। তারপর চোঙ্গা মুখে দিয়ে রাজনীতি করেছি, রাস্তায় হেঁটেছি, পায়ে হেঁটেছি, ফুটপাতে ঘুমিয়েছি। সেই রাজনীতি থেকে আজ এ পর্যন্ত এসেছি।
(বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম বৈঠকে বঙ্গবন্ধু)