করোনা পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধে করণীয় - Southeast Asia Journal

করোনা পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধে করণীয়

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

ফিচার ডেস্ক

চীনের উহান ও হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি মহামারি করেনা ভাইরাস বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ২শতাধিক দেশে মহামারি রুপ ধারণ করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশেও প্রায় ৩০ জন এ রোগে আক্রান্ত ও কয়েকজন নিহতও হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আক্রমন বেড়ে যাওয়ায় হাঁট-বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে দেশীয় এক শ্রেনির প্রতারক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। আর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির খবরে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, অনেকে আবার উচ্চ মূল্যেই মজুদ করছেন নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার সামগ্রী। এদিকে সরকারের তরফ থেকে বারবার ভোগ্য পণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে বলে জানানো হলেও বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন কমছেই না বরং পাল্লা দিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।

অন্যদিকে এসব অসাধু সিন্ডিকেট রুখতে সারাদেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করছে ভ্রাম্যমান আদালত, কোথাও কোথাও আবার গুদামও সিলগালা করা হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও থামছেই না ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ন। তবে অনেকেই মনে করছেন, শুধু মাত্র বাজার মনিটরিং বা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাই এসব ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে আনতে পারবে না, নিয়ন্ত্রনেও আসবে না দ্রব্যমূল্যের দাম।

তাই বাজার নিয়ন্ত্রনে ও অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে যা যা করা যেতে পারে-

১। দ্রব্যমুল্যের বাজার মনিটরিং যতটা না সফল হবে তারচেয়ে বেশি সফল হওয়া যাবে যদি, মাইকিং বা ক্যাম্পেইন করে জনসাধারণের মনে ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট প্রতিহত করার মত সৎ সাহস জাগানো যায়।

২। প্রতিটি বাজারে অভিযোগ বক্স স্থাপন করা উচিত, যাতে প্রভাবশালী ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনগন সাচ্ছন্দ্যে অভিযোগ করতে পারেন।

৩। নগর-মহানগর-জেলা-উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করার মত কর্মকর্তা বৃদ্ধি করা বা বিশেষ ক্ষমতা প্রধান করে অভিযান বাড়িয়ে দেয়া, যাতে দেশের কোন বাজার বাদ না যায় অভিযান থেকে অথবা যাতে যেকোন অভিযোগের ভিত্তিতে অতি দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া যায়।

৪। কাঁচামাল বা খুব পরিবর্তনশীল দামের পণ্য ছাড়া বাকি সব পণ্যের সরকার নির্ধারিত মুল্য তালিকা প্রত্যেক দোকানে/আঁড়তে থাকা বাধ্যতামুলক করা। কিংবা সরকার থেকে বাজার মূল্য নির্ধারণরে টেলিভিশন, রেডিও ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে মূল্য তালিকা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া। এতে করে প্রতারক ব্যবসায়ীদের জনগণই বয়কট করবে।

৫। ব্যাবসায়ীদের মাঝে ধর্মীয় অনুশাসন এবং সচেতনতা তৈরীর জন্য মোটিভেশনাল প্রমান্যচিত্র, টিভি চ্যানেল এবং প্রজেক্টটরের মাধ্যমে এলাকায় এলাকায় প্রচার করা।

৬। স্থানীয় রাজনৈতিক দল/সেচ্ছাসেবী সংগঠন/ছাত্র সংগঠনের সাথে প্রশাসনের সমন্বয় করে তাদের বাজার মনিটরিং এর জন্য উদ্বুদ্ধ করা।

৭। দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে গুজব প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে গুজব নিয়ন্ত্রন সেল স্থাপন করা।