রাঙামাটিতে করোনা পরিস্থিতি, ত্রাণ কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত - Southeast Asia Journal

রাঙামাটিতে করোনা পরিস্থিতি, ত্রাণ কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে করোনা নিয়ন্ত্রন ও সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে সরকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরীর সাথে রাঙামাটির স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, দায়িত্বশীলদের সাথে প্রথমবারের মতো মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৪ এপ্রিল শুক্রবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: ইফতেখুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর, সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান রোমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতাব্বর, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, রাঙামাটিতে করোনা মোকাবেলায় সবাই এক সাথে কাজ করে যাচ্ছে। সকলের প্রচেষ্টায় আমরা এখনো নিরাপদ আছি, দূর্গম এলাকায় খাদ্য সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্র রাঙামাটিতে সকল জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে বেশ কষ্ট করতে হচ্ছে। আমাদের জেলায় প্রচুর দূর্গম অঞ্চল রয়েছে। আমরা সকলে আপ্রাণ চেষ্টা করছি, যাতে সকলের ঘরে ঘরে সহায়তা প্রদান করা যায়। তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু দূর্গম এলাকায় উন্নয়ন বোর্ডের পাড়া কেন্দ্রের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হবে, এ ব্যাপারে তাদের সাথে চুড়ান্ত আলোচনা শেষ হয়েছে, যে কোনদিন উন্নয়ন বোর্ড এ কার্যক্রম শুরু করবে। মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মে মাসেই কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ হবে। ভিজিএফ কার্ডধারী জেলেরা যাতে এবার খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলার ত্রাণ পরিবীক্ষণ কমিটির প্রধান ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী রাঙামাটি করেনা পরিস্থিতির প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণ করুন এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সংকট উত্তরণে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। কোন কোন বিভাগে কেমন ক্ষতি হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে নিরূপন করে উত্তরণের উপায় নির্ধারণ করার উপর জোর দেন তিনি।

বিশেষ ইকোনোমিক জোন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাইলেই এমন ইকোনোমিক জোন করা যায় না, কারণ কেউ কারো জায়গা ছাড়তে চায়না, অতীতেও এমন অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, কিন্তু কর্তৃপক্ষ জায়গা না ছাড়াতে, সেগুলো আর আলোর মুখ দেখেনি।

তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলের জন্য তো আরও কঠিন। বিগত সময়ের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, তৎকালীন পার্বত্য সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এমন একটি ইকোনোমিক জোনের জন্য প্রচেষ্টা করেছিলেন, সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল, এমনকি কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও অনুমোদন দিয়েছিলেন, সেখানে শর্ত ছিল, এখানে এই জোনে শুধুমাত্র পাহাড়ি জনগণই নিয়োগ পাবে এবং কাজও করবে তারা। আমার মত কোন বাঙালি থাকবে না। তারপরও আঞ্চলিক দুটি দলের অমত ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আপত্তিপত্র যাওয়ায় সে প্রকল্প ভেস্তে যায়।’