খাগড়াছড়ির প্রথম করোনা রোগীর শরীরে নেই কোন উপসর্গ, রোগীর দাবির মুখে নতুন করে নমুনা সংগ্রহ
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় গত ২৯শে এপ্রিল প্রথমবারের মতো নারায়নগঞ্জ ফেরত এক গার্মেন্টস কর্মীর শরীরে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসলেও গত ২দিনে তার শরীরে কোন উপসর্গ দেখা না দেয়ায় এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। এছাড়া আক্রান্ত রোগী নিজেই ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করেছেন তিনি করোনা আক্রান্ত নন। করোনায় সংক্রমিত হওয়ার মত কোনো উপসর্গ কিংবা লক্ষণ তার শরীরে নেই বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মত কোনো প্রকার উপস্বর্গ কিংবা লক্ষণ তাঁর শরীরে নেই। শারিরীক দিক থেকে পরিপূর্ণভাবে সুস্থ্য আছেন। প্রয়োজনে একাধিকবার নমুনা পরীক্ষারও দাবী জানান তিনি।
পাশাপাশি তার সাথে প্রাতিষ্ঠানিক কোরারেন্টাইনে থাকা আরেক পোশাক শ্রমিক রিকেল চাকমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তাঁর সহকর্মীর শরীরে করোনা প্রজেটিভ রিপোর্টকে ভিত্তিহীন ও গুজব বলে দাবী করেন। তাই এ বিষয়য়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সাধারন লোকজনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে এই নতুন বিভ্রান্তি দূর করার জন্য গত বৃহস্পতিবার (২৯শে এপ্রিল) সকালে নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ওই পোশাক শ্রমিকের সাথে থাকা আরো ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি উপজেলার কামক্কাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়টিকে লকডাউন করা হয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ তনয় তালুকদার জানান, পোশাক শ্রমিকের শরীরে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করার জন্য নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে সাথে থাকা আরও ১০ জনসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনজন স্বাস্থ্যকর্মীরও নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যাহ নতুন করে নমুনা সংগ্রহের সত্যতা স্বীকার করে জানান, হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে কামক্কাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে যে তিন পোষাক কর্মী বাড়িতে চলে গিয়েছিল তাদেরকে পুরনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে আসা হয়েছে। তাছাড়াও তাদের বাড়িঘরসহ বিদ্যালয়টি লকডাউন করা হয়েছে। বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬২ জন পোষাক কর্মী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত ১৮ এপ্রিল থেকেই নারায়নগঞ্জ ফেরত পোষাক শ্রমিককে উপজেলার কামক্কাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে ২৮শে এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানোর পর গত ২৯ এপ্রিল তার শরীরে করোনা রয়েছে মর্মে রিপোর্ট আসে।
এদিকে উপজেলার ৪৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৮৭৭ জন পোষাক কর্মী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে এবং ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ২’শ ৩১ জন পোষাক কর্মী বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে।