বান্দরবানে উপজাতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইউপি সদস্য নিহতের ঘটনায় স্ত্রীর মামলা
 
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে চাইন ছাহ্লা মারমা (৩৭) নামের এক ইউপি সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় একই এলাকার যতিন্দ্র মারমার ছেলে মং সইনু মারমা (২৬) নামের এক আসামীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩/৪জনকে আসামী করে বান্দরবান সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে নিহতের স্ত্রী অংসাংনি মারমা। গত ১৬ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বান্দরবান সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল আলম চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।
এর আগে, গত ১৫ জুন সোমবার সন্ধ্যায় মামলার ১নং আসামী মং সইনু মারমাসহ অজ্ঞাত একদল উপজাতি অস্ত্রধারী যুবক বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নে বাকীছড়ার মাঝের পাড়ায় ২নং কুহালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য চাইন ছাহ্লা মারমার বাড়িতে এসে তাকে ঘর থেকে ডেকে বের করে খুব কাছ থেকে তার কোমরে গুলি করে পালিয়ে যায়, এরপর স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাতে চাইন ছাহ্লা মারমাকে চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে রাত ১১ টায় পটিয়া এলাকায় মারা যান তিনি ।
এদিকে ঘটনাস্থল বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়ন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র নিয়ন্ত্রনে থাকায় ঘটনাটি জেএসএস সন্ত্রাসীরাই ঘটিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এছাড়া স্থানীয়দের দাবি, মামলার আসামী মং সইনু মারমা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস’র সশস্ত্র গ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্য।
